ইসমাঈল আযহার: [২] ইসলামি ফিকহ শাস্ত্রের প্রতিটি গ্রন্থের শুরুতেই ‘কিতাবুত তাহারাত’ বা ‘পবিত্রতা অধ্যায়’ স্থান পেয়েছে। মুমিনকে যেমন অবস্তুগত (হাদছ) অপরিচ্ছন্নতা থেকে পবিত্র হতে হয়, অজু বা গোসলের মাধ্যমে। তেমনি বস্তুগত অপরিচ্ছন্নতা থেকেও পবিত্র হতে হয়, দেহ-বস্ত্র ও স্থান ইত্যাদি পরিষ্কারের মাধ্যমে। এমনকি জায়গা পরিষ্কার না থাকলে নামাজও গ্রহণযোগ্য হয় না।
[৩] উত্তম রূপে পবিত্রতা অর্জনকারী মদিনার নিকটবর্তী কোবা এলাকার লোকজনের প্রশংসা করে আল্লাহ তাআলা কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালবাসে। আর আল্লাহ্ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আত-তাওবা)
[৪] মহান আল্লাহ আরও বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের।’ (সুরা বাকারা)
[৫] হাদিসেও বিভিন্ন উপায়ে পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং নানাবিধ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এমনকি পরিচ্ছন্নতা রক্ষাকে ঈমানের অংশ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আবু মালেক আশআরি রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক।’ (মুসলিম শরীফ)
[৬] ইসলামে ব্যক্তির পরিচ্ছন্নতা, গৃহের পরিচ্ছন্নতা ও পরিপার্শের পরিচ্ছন্নতা—কোনোটাই বাদ যায়নি। ব্যক্তির পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় অন্তত জুমাবারে গোসলের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এমনকি হাদিসে এ ক্ষেত্রে ওয়াজিব বা অত্যাবশক বলা হয়েছে। আবু সাঈদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল সা. বলেন, জুমার দিন (শুক্রবার) গোসল করা প্রতিটি সাবালক ব্যক্তির জন্য ওয়াজিব।’ (বুখারি শরীফ)
[৭] আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল সা. বলেন, ‘আল্লাহর জন্য প্রতিটি মুসলিমের অবশ্য কর্তব্য হলো (অন্তত) প্রতি সাত দিনের মাথায় তার মাথা ও শরীর ধৌত করা।’ (বুখারি; মুসলিম)
আপনার মতামত লিখুন :