লাইজুল ইসলাম : [২] গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, আমার জেলায় যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে তাদের বিষয়ে সর্বোচ্চ নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যারা বাসায় আছে তাদের পাহারার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে যেই এলাকায় সেই এলাকার থানার মাধ্যমে ওই ব্যক্তির ওপর নজরদারি করা হচ্ছে।
[৩] বরিশালের উজিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতি বিশ্বাস বলেন, প্রথম দিনেই তার বাড়ির পাশে গিয়ে হ্যান্ড মাইকের মাধ্য সবাইকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। আশপাশের বাসিন্দাদের বলা হয়েছে বের হলে খবর দিতে। এছাড়া, প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিকে পুলিশ, চেয়ারম্যান ও মেম্বার দিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে।
[৪] চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, ১৬৭ জন এই মূহুর্তে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। প্রত্যেকের বাড়িতে আনসার ভিডিপি’র সদস্যরা গেছেন। উপজেলা ও জেলা স্বাস্থকর্মকর্তা এদের সঙ্গে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধির একত্রিত হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের নজরদারি করছেন।
[৫] রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে যারা থাকছেন না তাদের বিরুদ্ধে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবেন। বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কমিটি গঠন করা আছে।
[৬] মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, মনিটরিং প্রতিদিন চলছে। উপজেলা প্রশাসন তাদের রিপোর্ট জেলা প্রশাসনকে পাঠাচ্ছে। জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। আমরা সেটা প্রতিদিন সমন্বয় করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছি।
[৭] তিনি বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মী, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-ম্যাম্বার ও উপজেলা ও জেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা সারপ্রাইজ ভিজিট করছে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়িতে।
আপনার মতামত লিখুন :