শিরোনাম
◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির 

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২০, ০৭:৫৯ সকাল
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০২০, ০৭:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাষ্ট্র, সরকার বা আইন নয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়ার ক্ষমতা কেবল আপনারই আছে

 

সওগাত আলী সাগর: রাষ্ট্র, সরকার বা আইন নয়, করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রুখে দেয়ার ক্ষমতা কেবল আপনারই আছে। আপনি, মানে আমি, আপনি, আমাদের আত্মীয় স্বজন, নাগরিকরাই কেবল কোনো জনপদে এই ভাইরাসের বিস্তৃতি রুখে দিতে পারে। কানাডার চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এই কথাটা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে। কানাডার প্রধান চিকিৎসকও এই কথাটাই বলেছেন। সবার বক্তব্যের সুর কিন্তু একটাই, রাষ্ট্র যা কিছুই করুক না কেন, কেবল নাগরিকদের পক্ষেই সম্ভব এই রোগের ব্যাপক বিস্তৃতি প্রতিরোধ করা।

কীভাবে সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস জটলা পছন্দ করে, যেখানে বেশি মানুষ আছে সেখানেই তারা ভীর। মানুষের সরাসরি সংস্পর্শে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে এই ভাইরাস কাকে কতোটা কাবু করবে। বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের স্বেচ্ছায় দুই সপ্তাহের আইসোলেশনের পরামর্শ দিয়েছে কানাডা। কিন্তু জবরদস্তি করছে না। তারা এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করছে। নিজেরাই, নিজের পরিবারের, সমাজের, দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি যে আমাদের হাতে এটি যদি আমি নিজেই বুঝতে না পারি, তাহলে রাষ্ট্রের আইন, পুলিশ কতোটা কী করবে?
চিকিৎসকরা বলছেন, মানসিকভাবে শান্ত থাকুন, নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন, স্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে রাখুন, ভীড়বাট্টা এড়িয়ে চলুন। আপাতত এর বাইরে তো কোনো পরিত্রাণও নাই। যেকোনো দেশের জনসংখ্যার তুলনায় রাষ্ট্রের ফ্যাসিলিটিজ কম থাকে, সক্ষমতাও কম থাকে। করোনাভাইরাসের কারণে অন্যের প্রতি ঘৃণা ছড়াবেন না।

কেউ বিদেশ থেকে এসেছে বলেই তাকে অশ্পৃশ্য ভাববেন না। সামাজিক মাধ্যমে তাদের নিয়ে যখন ঘৃণা ছড়ানো মতামত প্রচার করেন- সেটি তার জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। মনে রাখা দরকার, সাধারণভাবে করোনাভাইরাস ঘাতক ভাইরাস নয়। কিন্তু যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই দুর্বল, শ্বাসকষ্টজনিত কিংবা অন্যান্য অসুস্থতা আছে তাদের জন্য অবশ্যই এটি ভীতিকর। আমরা তো জানিই, করোনা স্পর্শ চায়, স্পর্শ ছাড়া এটি কারও কাছেই যেতে পারে না, আমরা তাহলে স্পর্শ থেকে দুরে থাকি না কেন। আরেকটা কথা, স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ কিংবা পরীক্ষিত গবেষক ব্যতিরেকে করোনাভাইরাসের ব্যাপারে অন্য কারও কথা শুনবেন না। সেগুলো প্রচারও করবেন না। করোনাকে ঠেকিয়ে দেয়ার এখন পর্যন্ত একমাত্র ব্যবস্থা হচ্ছে নিজের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে সক্রিয় এবং সবল রাখা, চারপাশে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত রাখা। এটা সেটা ছড়ানোর চেয়ে আমরা বরং এদিকটায়ই মনোযোগ দেই না কেন? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়