শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২০, ০৭:৫৭ সকাল
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০২০, ০৭:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চীনা বিজ্ঞানীদের হিসেবে, আক্রান্তদের ১৫ শতাংশ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে

 

শুভদ্বীপ চন্দ: অনেকে বলছেন, এদেশে করোনা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। বেশিরভাগ আনডায়াগনোসড হয়ে আছেন। আসলেই কী সম্ভব? ফ্যাক্ট ভার্সেস মিথ। ওয়াশিংটন বেসড বিজ্ঞানীরা অনেক কিছু খোলসা করেছেন। প্রথমত ভাইরাসটি কীভাবে ছড়াচ্ছে? হাঁচি কাশির মাধ্যমে। শ্বাস গ্রহণে ভাইরাসটি অন্য মানুষের শরীরে ঢুকে যাচ্ছে। ভাইরাসটি বাতাসে জীবিত থাকতে পারে কয়েক ঘণ্টা, কাপবোর্ডে প্রায় ২৪ ঘন্টা, প্লাস্টিক বা স্টেইনলেস স্টীলে ২ থেকে ৩ দিন। সেজন্যই মূলত বারবার হাত ধোয়ার কথা বলা হয়। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে ২ থেকে ৩ জনকে আক্রান্ত করতে পারেন। এটা ফ্লু-য়ের চেয়ে দ্রুত ছড়ায় কিন্তু হাম বা যক্ষার চেয়ে কম। সিম্পটম মুলত কাশি, জ্বর, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট।

দুই সপ্তাহ লাগে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে। চীনা বিজ্ঞানীদের হিসেবে আক্রান্তদের ১৫ শতাংশ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সিম্পটম সময়ের সাথে খারাপ হয়। সাধারণত বেশি খারাপ হয় দ্বিতীয় সপ্তাহে। ছেলেরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ চীনে অর্ধেক ছেলেই ধুমপান করে, মেয়েরা করে মাত্র ৫ শতাংশ। আক্রান্তরা সাক্ষাৎকারে- ফ্লু লাইক ফিলিং, মাথা ভার ভার লাগা, তীব্র শ্বাসকষ্টের কথা বলেছেন। ভাইরাসে ধরার পাঁচ থেকে ছয় দিনের দিন সিম্পটম শুরু হয়। সর্বোচ্চ ১৪ দিনের মধ্যে। সিম্পটম প্রকাশ পাওয়ার আগে গলায় এবং নাকে ভাইরাস বেশি থাকে। তখনি মূলত ছড়ায়। এটি সুস্থ হওয়ার পরও পায়খানা দিয়ে বের হয়।
সর্বশেষ প্রশ্ন হচ্ছে এটা ঠিক কতোটা মারাত্মক? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি বলার সময় এখনো আসেনি। তবে আপাত অঙ্কটি ১ থেকে ৪ শতাংশ। শতাংশ আক্রান্তের সাপেক্ষে। ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে তা ০.১ শতাংশ। মানে প্রায় দশ গুণ বেশি। কো মরবিডিটি থাকলে তা ১০ শতাংশ। অর্থাৎ সাথে ডায়েবেটিস, প্রেশার, ওবেসিটি থাকলে। মৃত্যুর সংখ্যা সারা পৃথিবীতে ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্ত অগণিত। বেশিরভাগ উন্নত দেশ আক্রান্ত- ইউরোপ, আমেরিকা, চীন, জাপান। এখন বলুন- তাও কী সম্ভব এ ভাইরাসকে লুকিয়ে রাখা? শুধু মগবাজারের কথা চিন্তা করে দেখুন। যদি ৩০ হাজার জন আক্রান্ত হয় মারা যাবে তিনশো জন।
উন্নত দেশের হিসেবে হিসেব করছি। আমাদের যে আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন বা পাবলিক সচেতনতা- ৩০ হাজার অঙ্কটি অনেক কম। এটি আরও অনেক বেশি ছড়াবে। কো-মরবিডিটি বলুন, ধুমপান বা ঘনবসতি- আমরা কোনোদিকে পিছিয়ে নেই। আমরা কেউ শ্বাস গ্রহণ বন্ধও রাখিনি। সবকিছু চলছে। তাই গুজব ছড়াবেন না। কোভিড-১৯ কে হজম করে ফেলা সহজ নয়। অহেতুক সরকার এবং মেডিকেল স্টাফদের গালাগালি করে লাভ নেই। সবাই চেষ্টা করছে। এতো বড় হাতি আপনাকে বোকা বানিয়ে গুম করা যাবে না। এটাই লজিক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়