তপু সরকার, শেরপুর প্রতিনিধি : [২] শুধুমাত্র বিশেষ সময়ে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভোটি স্বরন করা হয় । এছাড়া সারা বছরই থাকে অযত্ব-অবহেলায়।
[৩] চলছে স্বাধীনতার মাস। আর এ সময়েও ওই স্মৃতিস্তম্ভে চলছে নানা অসামাজিক কর্যকলাপ। যেন দেখার কেই নেই। ২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বর গণপুর্ত বিভাগ স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণের পর তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউর করিম উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের কমিটির সভাপতি ।
[৪] আড্ডার ফাঁকে সম্প্রতি শুরু হয়েছে নানা অসাজিক কর্মকাণ্ড। স্মৃতিস্তম্ভের সাথেই অবৈধভাবে স্থানীয় এক ব্যক্তি ঘর নির্মাণ করে পান-বিড়ির দোকান গড়ে তুলেছেন। ফলে সারাদিন ও মধ্যরাত পর্যন্ত এসব আড্ডা জমে উঠেছে। এর পাশাপাশি স্মৃতিস্তম্ভের উপর সারদিন তার দোকানের আগুন জ্বালানোর লাকড়ি ও গাছের পাতা শুকানোর জন্য ব্যবহার করে স্মৃতিস্তম্ভটিকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করছে।
[৫] এরফাঁকে এক শ্রেণীর যুবক সিগারেট ও গাজার আসর ও কেরাম বোর্ড খেলার নাম করে জুয়ার আসর বসিয়েছে। উঠতি বয়সের যুবকরা ফ্রি ওয়াইফাই জোন পেয়ে বাড়ী যেন আর যেতে চায় না। ফ্রি ইন্টারনেট এর নেশায় বুদ হয়ে পড়ে থাকে সকাল-সন্ধ্যা এমনকি মধ্যরাত পর্যন্ত। ফলে শহীদ বেদির সম্মানহানি ঘটাচ্ছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন।
[৬] তবে ওই দোকানি জানান, পৌরসভার অনুমতি নিয়ে স্মৃতিস্তম্ভের দেখাশোনা করি আর আমার দোকান চলাই।
[৭] এ বিষয়ে পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, ঐ দোকানী মিথ্যা বলছে, আসলে ওই স্মৃতিস্তম্ভের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। ওই নির্মাণ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। বিভিন্ন দিবসের সময় জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হলে আমরা পরিস্কার করে দেই মাত্র। ওই স্মৃতিস্তম্ভের মালিকানা বা দেখাশোনার দায়িত্ব আমাদের নয়, তাই ওখানে অবৈধ দোকান বসানোর বিষয়টি দেখারও আমাদের দায়িত্বে নয়। সম্পাদনা: রাকিবুল
আপনার মতামত লিখুন :