রাশিদ রিয়াজ : [২] ভারতে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে বর্ষীয়ান আইনজীবী কেটিএস তুলসির মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেই স্থানে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। সংসদের উচ্চ কক্ষের সদস্য হিসেবে তাঁর নাম মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এদিকে, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গগৈয়ের এই মনোনয়ন ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। গগৈকে রাজ্যসভায় মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
[৩] ২০০১ সালে গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে জুডিশিয়াল সার্ভিসে রঞ্জন গগৈয়ের কর্মজীবন শুরু। ২০১০ সালে তিনি পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় বদলি হন। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নিত করা হয়। ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর দেশের ৪৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। গত ১৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেন রঞ্জন গগৈ। দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর কার্যকালে কয়েকটি সংবেদনশীল মামালায় রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অযোধ্যা রামমন্দির মামলার রায়। এই সাংবিধানিক বেঞ্চের মাথায় ছিলেন বিচারপতি গগৈ।
[৪] এদিকে, রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভার সদস্য করা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া মৈত্র। রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভায় মনোনীত করার সিদ্ধান্তে কেন তিনি বিস্মিত হবেন না, ট্য়ুইটারে সৈই প্রশ্ন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এ সাংসদ। একইসঙ্গে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে গগৈয়ের আমলে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে আসা বেশ কয়েকটি ঘটনাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এইসময়
আপনার মতামত লিখুন :