লাইজুল ইসলাম: [২] সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮ প্রণয়ন করা হয় ২০১৮ সালে। সংক্রামক রোগের বিস্তার ঠেকাতেই এই আইন প্রণয়ন করে সরকার। আইন অমান্য করলেই ফৌজদারি কার্যবিধিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
[৩] আইনে ২৪ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা বিস্তার ঘটাতে সহায়তা করেন, বা জ্ঞাত থাকা সত্তে¡ও অপর কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত ব্যক্তি বা স্থাপনার সংস্পর্শে আসিবার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি না বলেন, তবে এটি একটি অপরাধ বলে গণ্য হবে।
[৪] আইনটির ২৪ ধারায় আরো বলা হয়েছে, এই অপরাধের কারণে উক্ত ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
[৫] আইনে ২৫ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন তবে এটি অপরাধ বলে গণ্য হবে।
[৬] আইনে ২৫ ধারায় আরো বলা হয়েছে, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশ পালন না করে, তবে এটিও অপরাধ বলে গণ্য হবে।
[৭] আইনে ২৫ ধারায় বলা হয়েছে, এসব অপরাধের কারণে উক্তব্যাক্তি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
[৮] আইনে ২৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগের বিষয়ে জেনেও ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা ভুলতথ্য প্রদান করে, তবে এটি অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধের কারণে উক্তব্যাক্তি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
[৯] আইনে ২৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনে ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলি প্রয়োগ হবে। আইনে ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, এই অপরাধ অ-আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা ও আপোষযোগ্যতা বলে গণ্য হবে।