লাইজুল ইসলাম : [২] পাঁচ মাস পর দেশে ভারতের পেঁয়াজ এসেছে। তবে এখনো জানা যায়নি কেজি প্রতি কত টাকায় বিক্রি হবে ভারতের পেঁয়াজ। কিন্তু এই পেঁয়াজের কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
[৩] সকালে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী সোহেল রানা জানান, দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকায়। মিশর ও তুরস্কের পেঁয়াজ নেই বাজারে। পাকিস্তানি বিক্রি হচ্ছে ৪০টাকা করে। চায়না বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা করে। আর বার্মার পেঁয়াজ আপাতত বন্ধ আছে। তিনি বলেন, চাষিরা কিছুটা চাপে পরবে। তবে এতে এত বেশি ক্ষতি হবে না।
[৪] আব্দুল মালেক কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ভারতের পেঁয়াজের কারণে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশি পেঁয়াজ চাষিরা। পেঁয়াজের মূল্য যদি ৪০ টাকাও থাকে তবে চাষিরা বাঁচবে। না হয় চাষিদের পেঁয়াজ থেকে অনেক লোকসান হবে।
[৫] সোহলে ও মালেক একটি বিষয়ে একমত পোষন করেছেন, দেশি পেঁয়াজ আবার ২০ টাকায় নেমে আসবে। দুজনের ধারনা আগামী সপ্তাহ থেকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হবে নূণ্যতম মূল্যে।
[৬] এদিকে ক্রেতারা বলছেন, এতে আসলেই দেশের মানুষ হাফ ছেড়ে বাঁচবে। পেঁয়াজ নিয়ে যে পরিমান হয়রানির শিকার হয়েছে দেশের মানুষ তা আর কখনো হয়নি।
[৭] দাম এতটা কমলে চাষিদের কি হবে এমন প্রশ্নে অনেকেই বলেন, এতদিন তো অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করেছেন পেঁয়াজ। এতে তো লাভ উঠে গেছে। তবে ভারতের পেঁয়াজের জন্য দেশি পেঁয়াজের বাজার কমে যাবে ও চাষিরা ঝামেলায় পরবে এটা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন ক্রেতারা।