শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২০, ০৬:২৩ সকাল
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০২০, ০৬:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] হাজারো রোগীকে সারিয়ে শান্তির ঘুম চিকিৎসকের

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপ নেয়া করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর উৎপত্তি হয়েছে চীন থেকে। দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের প্রকোপ সেখানে একেবারেই কমে এসেছে। শনিবার চীনে মাত্র ২০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ও দশজন নিহত হয়েছেন। কিছুদিন আগে আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যার তুলনায় এটি একেবারেই সামান্য। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস

[৩] সম্পূর্ণ অজানা একটি ভাইরাসের হাজার হাজার লোক আক্রান্ত ও শত শত লোক নিহত হওয়া শুরু হলে দিশেহারা হয়ে পড়ে চীন। তাৎক্ষণিক হাসপাতাল নির্মাণ, শপিং মল, কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থানকে অস্থায়ী হাসপাতালে পরিণত করা হয়। সেখানে ভর্তি হয় হাজার হাজার করোনা রোগী। কিন্তু এত এত রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা প্রদান ও তাদেরকে সুস্থ করে ঘরে ফেরার জন্য রীতিমত যুদ্ধ করেছেন চিকিৎসক, নার্স এবং মেডিকেল স্টাফরা।

[৪] নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন তারা। তেমন অনেক ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যে ছবি দেখে বিশ্ববাসীর হৃদয় কেঁদে উঠেছে। মাস্ক পরে থাকতে থাকতে মুখ বেকে যাওয়া, মুখে গভীর দাগ পড়ে গিয়েছে তাদের। ঠিকমতো ঘুম, খাওয়া হয়নি তবুও তারা এই অদেখা যোদ্ধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে চলেছেন।

[৫] শনিবার চীনের উহানের উচাংয়ের একটি অস্থায়ী হাসপাতালের এক চিকিৎসকের তেমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ডা. জিয়াং ওয়েনইয়াঙ একটি খালি বেডে শরীর এলিয়ে শুয়ে রয়েছেন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা একেবারে কমে যাওয়ায় হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল ছিল ডা. জিয়াং এর করোনায় দায়িত্ব পালনের শেষ রাত। কোনো রোগী না থাকায় এক বেডে এভাবেই শরীরটাকে এলিয়ে দেন ক্লান্ত জিয়াং।

[৬] দীর্ঘ সময় নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন তিনি। নিজের জীবনের পরোয়া না করে লড়েছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। এবার নিরবিচ্ছিন্নভাবে ঘুমাতে চান তিনি। তার এখন একটা ঘুম দরকার, লম্বা ঘুম। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চিকিৎসক-নার্সদের লড়াই ও তাদের অবদানের বাস্তব চিত্রই ফুটে উঠেছে ডা. জিয়াং এর এই ছবিতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়