আরিফুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : [২] উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও ফল পাচ্ছে না। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকলের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
[৩] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের স্বল্প নোয়াগাঁও গ্রামের পশ্চিম দিকে ফসলি মাঠে ২টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে কয়েক দিন যাবত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন ইউনিয়নের গুনারা গ্রামের সর্দার মো. মন মিয়া ও এলেম মিয়া। অভিযোগ আছে, সদরের একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিকে নগদ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে তারা বীরদর্পে সেখানে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করছে দিন-রাত।
[৪] উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বিশুতারা গ্রামের দানিছ মিয়া নামে এক ব্যক্তি। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ভূমি অফিসের লোকদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে সেখানে ড্রেজার মেশিন চালিয়ে যাচ্ছেন, এমন কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী লোকজন।
[৫] ভুক্তভোগী লোকজন জানান, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করে না। এরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে কৃষি জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় আবাদি জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে। এলাকার লোকদের দাবি, এভাবে ড্রেজিং পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করা হলে ভরা বর্ষায় তাদের ফসলি জমি ভাঙনের কবলে পড়বে।
[৬] নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও জনবসতি, সেতু, কালভার্ট, রেললাইনসহ মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
[৭] সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা জানান, এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। খুব শিগগিরই উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী
আপনার মতামত লিখুন :