রাশিদ রিয়াজ : [২] জাপানের ফুজি পাহারের চেয়ে বড় গ্রহাণুকে উড়তে দেখা যেতে টেলিস্কোপ প্রয়োজন। বিজ্ঞানীরা এটির নাম দিয়েছেন ‘১৯৯৮ওআরটু’ যা আগামী ২০২৯ সালের ১৩ এপ্রিল, শুক্রবার আমাদের পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা যাবে। চার মিলিয়ন বা ৪০ লাখ মাইল দূর বা পৃথিবী থেকে চাঁদে যাওয়ার ১৭ গুণ বেশি দূরত্বে রয়েছে এটি। নাসা.কম/ন্যাচার/দি সান
[৩] বিজ্ঞানীরা বলছেন গ্রহাণুটি আমাদের পৃথিবীকে আঘাত হানলে যে কোনো একটি বড় শহর নিমেষে ধুলিতে পরিণত হতে পারে। লাখ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে। গ্রহাণুর আঘাতে ধুলির মেঘের বিশাল আস্তরণ সূর্যকে আমাদের কাছ থেকে এমনভাবে বিচ্ছিন্ন করতে পারে যে দীর্ঘকাল শীত নেমে আসবে। মহাকর্ষীয় গহ্বর থেকে গ্রহাণুটিকে ছিটকে এসে পড়তে পারে এই ভূখণ্ডে। যা এখনো ধীর-গতির তারকার মত সৌরজগতে প্রদক্ষিণ করছে। আশার কথা নাসার অধিকাংশ বিজ্ঞানীরা বিশ^াস করেন গ্রহাণুটি আমাদের পৃথিবীকে আঘাত হানবে।
[৪] নাসার মহাকাশযান ‘ওসিরিস-রেক্স’ ওই গ্রহাণর কার্বনে ভরা পিঠ থেকে ‘নুড়ি-পাথর’ সংগ্রহ করার পর সেখানকার বিভিন্ন এলাকার ‘জমি-জরিপ’ (ম্যাপিং) করার কাজও করছে। অক্সফোর্ড এবং হার্ভার্ড বিজ্ঞানীদের এক গবেষণা বলছে, বড়ো আকারের কোন গ্রহাণু আঘাত হানলেও সব প্রাণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। ছোট বড় মিলিয়ে হাজার দুয়েক গ্রহাণু, ধূমকেতু ও অন্যান্য বস্তু প্রতিনিয়ত ঘুরছে আমাদের মাথার অনেক উপরে।
আপনার মতামত লিখুন :