শাহনাজ পারভীন : [২] তিনি বলেন, সবশেষে আমার চোখ বাঁধা অবস্থায় চারটি স্বাক্ষর নিয়েছে। যেহেতু চোখ বাঁধা ছিল তাই কোথায় স্বাক্ষর করেছি আমি জানি না। এরপর তারা আমাকে কারাগারে রেখে আসেন। তারা যে আমাকে নির্যাতন করেছেন তার চিহ্ন আমার সারা শরীরে আছে।
[৩] হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার উপর চলা নির্মম নির্যাতন প্রসঙ্গে আরিফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে আমার ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আমাকে মারধর করে। প্রথম আঘাত করেন আরডিসি (সহকারী কমিশনার, রাজস্ব) নাজিমুদ্দিন। এরপর আমাকে টেনে হেঁচড়ে বাইরে বের করে নিয়ে আসেন। এরপর মাইক্রোতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আমার হাত ও চোখ বেঁধে ফেলা হয়। তারা আমাকে এনকাউন্টার দেয়া হবে বলে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। আমি অনেক অনুরোধ করার পরও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকেন মাইক্রোবাসের অন্যরা। তারা আমাকে বারবার কালেমা পড়ে নিতে বলছিলেন।
[৪] আরিফ বলেন, আমি অনেক আকুতি মিনতি করি। আল্লাহর ও আমার সন্তানের কসম দিয়ে প্রাণভিক্ষা চাই। এতে তারা ক্ষ্যান্ত হচ্ছিলেন না। এরপর সেই স্থান থেকে ঘুরিয়ে আমাকে ডিসি অফিসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে একটি রুমে নিয়ে আবার আমাকে গালি দিতে থাকেন আরডিসি নাজিমুদ্দিন।
[৫] গতকাল জামিন পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য দুপুরের দিকে তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে দেখতে আসেন স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতুসহ তার স্বজনেরা। এসময় আরিফের হাতে-পায়ে, শরীরে ও মাথায় অসংখ্য লাঠির আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু ,সমর চক্রবর্তী
আপনার মতামত লিখুন :