শেকৃবি সংবাদদাতা: [২] ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা করোনাভাইরাসকে মহামারি হিসাবে ঘোষণা করেছে। আতঙ্ক বিরাজ করছে গোটা বিশ্ব। পত্রিকা এবং মিডিয়ায় প্রধান শিরোনাম এখন রুপ নিয়েছে করোনাভাইরাস।মন্ত্রীসভা থেকে শুরু করে চায়ের কাপ পর্যন্ত আলোচনার শীর্ষে করোনাভাইরাস।
[৩] করোনার আতঙ্কে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( শেকৃবি) শিক্ষার্থীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।সম্প্রতি বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে । এই ভাইরাসের আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য শেকৃবির অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের দাবিও তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
[৪] শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণের জন্য জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে রোববার সকাল ১১ টায় উপাচার্য কনফারেন্স এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা আপাতত স্থগিত থাকবে। করোনাভাইরাস নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[৫] শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশে আপাতত নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উন্মুক্তভাবে ঘুরাফেরা না করে তাঁকে নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।
[৬] গতকাল (১৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে সকল প্রকার ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের দাবি তুলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি এক সভার মাধ্যমে পরেরদিনের পরীক্ষা এবং রোববার (১৫ মার্চ) আরেকটি জরুরি সভার মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল প্রকার পরীক্ষা স্থগিত করেন। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার পাশাপাশি সকল প্রকার ক্লাস বর্জনেরও দাবি করেন। এ নিয়ে তারা আজ (১৫ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন।
[৭] সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমগুলোতে প্রায় ৯০ জন একসাথে ক্লাস করে।যেহেতু করোনাভাইরাস একটি ছোঁয়াছে সংক্রামক। এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো করোনা আক্রান্তের সন্ধান না মিললেও শিক্ষার্থীদের মাঝে এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা আরো বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা চলার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছে। এজন্য আমরা পরীক্ষার পাশাপাশি সকল প্রকার ক্লাসও বর্জন করছি।
সম্পাদনা: সারোয়ার জাহান