শরীফ শাওন : [২] ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ বলেন, ভেজাল পণ্য রোধে রাজধানীর ২ কোটি মানুষের জন্য রয়েছেন মাত্র ৬ জন কর্মকর্তা। এছাড়া, জেলা-উপজেলা পর্যায়েও ভেজাল পণ্য বিস্তার লাভ করছে। লোকবলের অভাবে এবং লজিস্টিক সাপোর্টের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কার্যাক্রম পরিচালনা। জনগণের প্রত্যাশা ও অধিকার পূরণ সম্ভব হচ্ছে না।
[৩] তিনি আরও বলেন, জনগণের মাঝে সচেতনাতা বাড়ার কারণে অভিযোগের পরিমাণ বাড়ছে। হটলাইন চালু হলে তা আরো বাড়বে। অভিযোগগুলো নিস্পত্তিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
[৪] কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন, নিরাপদ খাদ্য আইন, প্রতিযোগিতা কমিশন আইন, বিএসটিআই আইনসহ বেশকিছু আইন করেছে সরকার। আইন থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অভাবে ব্যহত হচ্ছে প্রয়োগ।
[৫] তিনি বলেন, অভিযান অব্যহত রাখলেও অনেক ক্ষেত্রে সক্ষমতার অভাবে ভোক্তা অধিদফতরের কার্যক্রম বেশি শক্তিশালী নয়। ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে প্রাতিষ্ঠানকে কাঠামোগতভাবে শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন তিনি।
[৬] তিনি আরও বলেন, জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে আইনের প্রয়োগ বাড়বে। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের মূল্যবোধ সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে।
[৭] সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিত্যপণ্য ও সেবায় বাড়ছে প্রতারণা, কারচুপি ও শুভঙ্করের ফাঁকি। শক্তিশালী হচ্ছে অসাধু চক্র, উপেক্ষিত হচ্ছে ভোক্তা সাধারণ। সূত্র : জাগো নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :