মাসুদ রানা : ঘরের ভেতর এসে মোবাইল কোর্ট বসাল ম্যাজিস্ট্রেট নামক এক মাস্তান। ঘুমের ভেতর থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এক সাংবাদিককে। কেন? সাংবাদিক যদি মাদক ব্যবসায়ী হয়েই থাকে, সে রাতে ঘুমের মধ্যে এই ব্যবসা করে? সকালে তার ঘুম ভাঙলে তখন এসে তার বাড়ি চেক করা যেতো না? বা তার বাড়ি আপনারা পাহারা দিয়ে রাখতেন। সকালে সবার উপস্থিতিতে তার বাড়ি তল্লাশি চালাতেন।
পুলিশ রাস্তার মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র চেক করে। কয়দিন আগে এই কারণে সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। পুলিশে নির্দেশে একটি গাড়ি থামানোর পর পেছনের গাড়িগুলো একে অপরকে ধাক্কা দেয়। মাঝপথে মহাসড়কের গাড়িগুলো চেক করার মানে কী? প্রতিটি গাড়িই একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে যাত্রা আরম্ভ করে। ওইখানে পুলিশ বসিয়ে রাখতে পারেন না? গাড়ি ছাড়ার মুহূর্তে কাগজ চেক করতে পারেন না? বা গাড়ি তার গন্তব্যে পৌঁছালে সেখানে চেক করতে পারেন না? কেন তারা এগুলো করেন জানেন? তাদের বিচার আর চেকিংয়ের জন্য দরকার নির্জন জায়গা বা গভীর রাত। ঘুষ খাইতে সুবিধা হয়। আর ঘুষ যারা দিতে পারে তারাই ব্যবসা করতে পারে। অন্যরা পারে না। অবৈধ ব্যবসায়ী আর সরকার পরস্পরের সাথে সংযোগ রেখেই সব কাজগুলো করে যায়। এই সাইকেলের মধ্যে ভালো কেউ ঢুকলেই এই নির্জন আর গভীর রাতের বিচার করে তাকে আউট করে দেয়া হয়। সভ্য দেশে এই সব ম্যাজিস্ট্রের আর পুলিশ নাই যার ঘরের ভেতর এসে বিচার করে। মানুষ শিক্ষিত আর সচেতন হয় গেলে এইসব পুলিশ আর ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হবে। তাই তারা সিস্টেমকে সামনে আগাইতে দেয় না। আর পাবলিকগুলোও এই কারণেই বোধাই, চিরকাল বোধাই ই থেকে যায়। এর থেকে বাঁচার উপায় একটাই, চুপ না থেকে বেশি বেশি কথা বলা। তাহলে সিস্টেম সামনের দিক এগোবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :