নুরুজ্জামান লাবু : মধ্যরাতে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানের বাসায় অতর্কিত হামলা। তাকে তুলে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। পরে জানা গেলো তারা সাধারণ সন্ত্রাসী নন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লোকজন। কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১৫-১৬ জন আনসার সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে তাকে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। কেন তাকে তুলে নিয়ে গেলো? এর কারণ হলো কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জেলার একটা সরকারি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করেছিলেন। রিগ্যান সেটা নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন।
সেই থেকে রিগ্যানের উপর ডিসি ক্ষুব্ধ। এছাড়া জেলা প্রশাসকের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রতিবেদন করতেন রিগ্যান। এ জন্য প্রতিশোধ নিতে চাইছেন তিনি। সর্বশেষ জানা গেলো রিগ্যানকে তুলে ডিসি অফিসে রেখে আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা সঙ্গে দিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। কী হাস্যকর বিষয়। অথচ রিগ্যান সিগারেট পর্যন্ত খায় না। অতি ভদ্র, সজ্জন ও নীতিবান। মুখ বুজে থাকতেন না, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। তো এই হলো অবস্থা। যেখানে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন, আর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী তথা রাষ্ট্রের ঘুষখোর কর্মকর্তা দাপট দেখাচ্ছেন মধ্যরাতে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :