মাজহারুল ইসলাম : [২] আবার কেউ নিজের বাড়িতেই দরজা-জানালা বন্ধ করে একা থাকছেন ( সেলফ আইসোলেশন), কারো সঙ্গে দেখা করছেন না।
[৩] দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের হাজার হাজার ধনকুবের করোনাভাইরাসের ভয়ে উন্নত পরীক্ষা ও আগাম চিকিৎসার জন্য ছোটাছুটি করছেন। ব্যয়বহুল প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে গোপনে পরীক্ষা করাচ্ছেন। কেউ কেউ ব্যক্তিগত বিমান ভাড়া করে ছুটছেন নির্জন শৈল-নিবাস বা বিনোদনকেন্দ্রে। অনেকে আবার চিকিৎসক ও নার্স নিয়ে পরিবারসহ চলে গেছেন নিরাপদ দেশে। বাংলা নিউজ
[৪] লন্ডনের হার্লি স্ট্রিট ক্লিনিকের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ধনকুবেররা যেভাবে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে চাচ্ছেন, তা ব্রিটেনের বেঁধে দেয়া নীতিমালার মধ্যে সম্ভব নয়। তাই তাদের মেডিক্যাল স্যাম্পল অন্য দেশ থেকে পরীক্ষা করে আনা হচ্ছে। আতঙ্কিত ধনকুবেররা কেবল পরীক্ষাই করেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না, অনেকে আবার কোভিড-১৯ এর টিকার জন্যও বায়না ধরছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস ঠেকাতে কার্যকর কোনও টিকা বের হয়নি।
[৫] হার্লি স্ট্রিট ক্লিনিকের প্রধান নির্বাহী ও মেডিক্যাল ডিরেক্টর মার্ক আলী জানিয়েছেন, ধনকুবেরদের চাহিদা এবং চাপে প্রচলিত টিকা দেয়া হচ্ছে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন নিয়ে বিশদ আলোচনা ও সুপারিশ করা হচ্ছে। এতে ইউরোপ-আমেরিকার ধনকুবেররা কিছুতেই খুশি হতে পারছেন না, আতংকও থামছে না। এ সুযোগে ব্যয়বহুল কিছু ক্লিনিক অনেক টাকার বিনিময়ে তাদের কথিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চিকিৎসা দিচ্ছে।
[৬] ইংল্যান্ডের প্রাইভেট জেট বুকিং সার্ভিস ‘প্রাইভেটফ্লাই’ জানিয়েছে, হঠাৎ করেই তাদের ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ধনকুবের ও তাদের পরিবারের লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে আমরা খুব ব্যস্ত। সংক্রমণের ভয়ে তারা প্রাইভেট জেটই পছন্দ করছেন। বাণিজ্যিক ফ্লাইটে কোথাও যেতে চাচ্ছেন না। ব্রিটেনের বাইরে ইউরোপের যেসব দেশে এখনো করোনা পৌঁছেনি তারা সেখানে চলে যাচ্ছেন।
[৭] ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ভিবোস গ্রæপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রবার্ট ভিসিনো জানান, এ ধরনের কেন্দ্রের বিক্রি বেড়েছে। ভিবোর কোনও কোনও বাংকার বা আশ্রয়কেন্দ্র মাটির নিচে ১৫তলা পর্যন্ত বিস্তৃত। তাতে ৫ হাজার মানুষ বাস করতে পারে। সেখানে বিনোদনের জন্য সুইমিংপুল, বার ও খেলার জায়গা সবাই আছে।
আপনার মতামত লিখুন :