শিমুল মাহমুদ :[২] বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাংবাদিকতায় চাটুকারিতা এমন পর্যায়ে গেছে যে তা দেখে প্রকৃত চাটুকাররাও লজ্জা পায়। সাংবাদিকতা এখন সংবাদকর্মীদের হাতে নেই। ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। আমরা সংবাদপত্রে সেলফ সেন্সরশিপ দেখছি। সম্পাদক সাহেব নিজেই বলেন যে এটা নেওয়া যাবে না, দেওয়া যাবে না। নিজেদের ব্যবসা রক্ষার জন্য সরকারের বাইরে যাওয়ার কোনো উপায় তাদের নেই।
[৩] মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আপনারা (সাংবাদিকেরা) আরও ভালো জানেন। কিভাবে ধীরে ধীরে একেকটি আইন তৈরি করে যাতে সাংবাদিকরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে না পারে। সরকারের বিরুদ্ধে কিছু লিখতে না পারেন, তার ব্যবস্থা তারা করেছে।
[৪] তিনি আরো বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা সাহেবকে বন্দুকের নলের মুখে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হলো, সেদিনই বিচার বিভাগ শেষ। আর কোর্টের কথা বলেন, মানুষের ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে যে তাদের (সরকার) ইচ্ছার বাইরে গিয়ে ভিন্নভাবে রায় দেবে।
[৫] মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক বাধা আসছে, আসবে, অনেককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হবে। আমরা আশা করি, জনগণের যে লড়াই, জনগণের যে সংগ্রাম, সেই লড়াই-সংগ্রামে সাংবাদিকেরা সব সময় সামনের দিকে ছিলেন, আজকেও তারা এই লড়াই-সংগ্রামে সামনের দিকে থাকবেন।
[৬] তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ হলো মৌলিক ও মানবিক দিক সেটা আর নেই। খালদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, এতো অসুস্থ যে তিনি প্রায় পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাকে তারা মুক্ত করছে না একটা মাত্র কারণ তিনি যদি মুক্ত হয়ে আসে তাদের সকল অপকর্ম বন্ধ হয়ে যাবে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু
আপনার মতামত লিখুন :