লাইজুল ইসলাম : [২] প্রতিদিন হাজারো যাত্রী বিদেশ থেকে এসে বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ঢুকছে। এই যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত আছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসক ও কর্মীরা। যাত্রীদের কাছাকাছি যারা কাজ করেন তারা নিয়ম অনুযায়ী পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নিয়ে থাকেন।
[৩] স্বাস্থ্য ডেস্কে যাত্রীদের কাছ থেকে রাখা হয় বিভিন্ন তথ্য। তাদের পূরণ করতে হয় স্বাস্থ্য কার্ড। এই সময়টুকুতে যাতে যাত্রীদের শরীরে থাকা জীবানু স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরে না আসতে পারে সেজন্য গ্রহণ করা হয়ছে বিবিধ ব্যবস্থা। পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) হিসেবে হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক, অ্যাপ্রোন পরে সেখানে কাজ করছেন তারা।
[৪] এই ডেস্ক থেকে যাত্রীরা চলে আসেন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসে। সেখানেও বেশ কিছু সময় প্রয়োজন হয়। এই সময়টাতে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা কাছাকাছি থাকে। কিন্তু এই সময়টাতে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কারো কাছে সংক্রমণ রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য নেই পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই)।
[৫] এছাড়া, নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদেরকেও দেখা যায়নি নিজেদের সুরক্ষায় তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় থাকা সদস্যরা। কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের সদস্যরা আছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
[৬] এ বিষয়ে বিমানবন্দরের দ্বায়িত্বে থাকা একটি বাহিনীর কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিমানবন্দর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে একদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু সেটাও তেমন না। আমাদের সদস্যরা প্রস্তুত আছে।
[৭] সদস্যদের জন্য মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও এপ্রোনের ব্যবস্থা করা হয়নি এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। যখন যাত্রী না থাকে তখন হয়তো খুলে বসে থাকে।
[৮] স্বাস্থকর্মকর্তা শাহরীয়ার সাজ্জাদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি বিমানবন্দরে কর্মরতদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে। সেই হিসেবে অনেককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।