বিপ্লব বিশ্বাস : [২] মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ১০ গ্রুপের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। চিহ্নিত ডাকাত আব্দুল হাকিমের অনুসারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছে এসব দলের। একটি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই ভয়াবহ চিত্র।
[৩] র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইন কমান্ডার আজিম আহমেদ আমাদের নতুন সময়কে জানান, জকির বাহিনী এখন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র। তাদের হাতে একাধিক অত্যাধুনিক বিদেশি অস্ত্র আছে। তারা মূলত. ডাকাতি, ইয়াবা পাচার, ক্যাম্পের অভ্যন্তরের চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত। এই বাহিনীকে ধরতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
[৪] গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যে জানা যায়, টেকনাফের শালবাগান, নয়াপাড়া, লেদা, পালংখালী, থ্যংখালীসহ বিভিন্ন ক্যাম্প ভিত্তিক স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তদের তৎপরতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্যাম্পে নিয়োজিত ব্লক মাঝি ও কতিপয় ভলান্টিয়াররা এসব ডাকাতদের সোর্স হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে প্রশাসনের অভিযানের খবর দ্রুত পেয়ে যায় ডাকাত দল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিভর্রযোগ্য সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশে-পাশের পাহাড়ে অবস্থানরত ডাকাত জকির গ্রুপ, ছৈয়দ হোছন ওরফে পুতিয়া গ্রুপ, খাইরুল আমিন গ্রুপ, সালমান শাহ গ্রুপ, মো. শফি গ্রুপ, আনোয়ার গ্রুপ, নুর হোছন গ্রুপ, মো. ইসলাম ধইল্যা গ্রুপ, নুরুল ইসলাম ওরফে নুর সালাম গ্রুপের সদস্যদের স্বশস্ত্র মহড়া চলমান। এসব ডাকাত গ্রুপের লিডাররা শীর্ষ ডাকাত সরদার আব্দুল হাকিম ওরফে হাকিম ডাকাতের নির্দেশ মেনে চলে। হাকিম ডাকাতের তৎপরতায় এসব গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :