আশরাফ আহমেদ, হোসেনপুর প্রতিনিধি : [২] কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে পৌর শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছাকাছি অথবা পাশে ভুঁইফোড় অসংখ্য কিন্টারগার্ডেন গড়ে উঠেছে। এতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে উপস্থিতি আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।
[৩] প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ভাগিয়ে নিয়ে কিন্ডারগার্টেনে জমে উঠেছে বাণিজ্যিক রমরমা ব্যবসা। আবার কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদেরকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি দেখিয়ে সরকারের দেওয়া উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার চলে পাঁয়তারা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকার নির্ধারিত সিলেবাস থাকলেও কিন্ডারগার্টেনে গুলোতে কোন সুনির্দিষ্ট সিলেবাস নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় একগাদা বই আর ব্যাগের বোঝা।
[৪] উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোট-১১০টিএবং প্রায় ৯০ টি কিন্টারগার্ডেন রয়েছে। অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছাকাছি অথবা সামান্য দূরে অবস্থিত।
[৫] সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার গোবিন্দপুর , সিদলা, আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নগুলোতে কিন্ডারগার্টেন ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে।ধলাপাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ১২০ জন অথচ পাশে গড়ে ওঠা নতুন কুঁড়ি কিন্টারগার্ডেনে শিক্ষার্থী ৩০০জনের অধিক।
[৬] এ ব্যাপারে ধলাপাতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরব আলী জানান, স্কুলে পূর্বের তুলনায় শিক্ষার্থী অনেক কমে গেছে। তবে আমরা সদা চেষ্টা করছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদেরকে ধরে রাখার।
[৭] এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত)মো. সাদিকুর রহমান জানান, উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী যাতে না কমে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে কিন্ডার গার্টেন স্কুলগুলোতে সুনির্দিষ্ট সিলেবাসের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :