সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু : সমাবেশ, গণপরিবহন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন, আবার স্কুল কলেজ খোলা রাখছেন। প্রতিদিন একেকটা স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে পাঁচশ থেকে ১৫ হাজার ছেলেমেয়ে জমায়েত হয়। আপনারা কী হিসাব করেছেন, আপনাদের রাজধানীসহ দেশের তো শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুল, কলেজে, ভার্সিটিতে যেতে আসতে গণপরিবহন ব্যবহার করে? লাখ লাখ। আপনাদের কি ধারণা সবার সন্তান কিন্তু প্রাইভেটকারে যাতায়াতের ক্ষমতা রাখে? না, রাখে না। ৯০-৯৫ শতাংশ গণপরিবহনে বাদুড়ঝোলা হয়ে যায় এবং আসে। আপনারা কি হিসাব কষেছেন দেশের কতো শতাংশ ছাত্রছাত্রী একটি বেঞ্চে গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে ক্লাস করে? কম করে হলেও ৯৫ শতাংশ। আপনারা এই হিসাবটাও কষেননি, কারণ অনেকের সন্তান দেড় দুই ফুট দূরে দূরে বসানো সিঙ্গেল ডেস্কে বসে ক্লাস করে। আপনারা কি হিসাব কষেছেন দেশের স্কুল, ভার্সিটির ছাত্ররা কেমন করে ছাত্রাবাসগুলোতে রাত কাটায়? ডাবলিং, গণরুমের হিসাব করেননি, হিসাব করেননি, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কতো সতাংশ সন্তান নিজের বাসা, বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে। এসব চিন্তাগুলো করেন, কমপক্ষে একমাসের জন্য স্কুল, কলেজ, প্রাইমারি বন্ধ করে দিন। পরিস্থিতির অবনতি না হলে, ভালো থাকলে একমাসের আগেই খুলে দেবেন। সমস্যা কী তাতে।
এক মাস স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি বন্ধ থাকলে কিছু হবে না। ঢাকার বাইরে বছরে এই দিবস, সেই দিবস, এই র্যালি সেই র্যালিতে কিন্তু ২৫-৩০ দিন এমনিতেই পার হয়। মনে রাখবেন যে পড়ার সে বাড়িতে বসেই ক্ষতি পুষিয়ে নেবে। করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর বন্ধ করে লাভ নেই, এই ব্যাধি গাণিতিক হারে বৃদ্ধির মতো ছড়ায়। আর যদি নাও ছড়ায়, ছড়ানোর সম্ভাবনা আর প্রতিদিন, প্রতি সেকে-ে আক্রন্ত হওয়ার আতঙ্ক মাথায় নিয়ে আর যাই হোক স্কুল, কলেজ, ভার্সিটতে লেখাপড়া হয় না। বারবার হাত ধুতে বলছেন, শিশুরা স্কুলে পড়বে না সাবান পানি নিয়ে ট্যাপের কাছে ঘণ্টায় ঘণ্টায় দৌড়াবে, অতো পানির ট্যাপ, অত সাবান আছে স্কুলে, কলেজে, ভার্সিটিতে? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :