শরিফুল হাসান :করোনা মোকাবেলায় ঢাকায় আমাদের বিমানবন্দরে তৎপরতা এখন বেশ চোখে পড়ার মতো। ঢাকায় যারাই নামছেন তাদের একটি ফরম দেওয়া হচ্ছে। এরপর একজন ডাক্তার এসে সবার জ্বর মাপছেন। সব স্বাভাবিক থাকলে একজন ডাক্তার সনদ দিচ্ছেন। সেটা দেখালে তবেই ইমিগ্রেশন পার হওয়া যাচ্ছে। চোখে পড়ার মতো তৎপরতা। তবে পুরো কাজে একটা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনা হচ্ছে। আপনারা দেখলে অবাক হবেন, জ্বর মাপা আর ডাক্তারের সনদ নেওয়ার জন্য হাজার হাজার লোককে একসঙ্গে লাইনে গাদাগাদি করে দাঁড়াতে হচ্ছে। ফলে লোকজনকে যেমন কষ্ট পেতে হচ্ছে তেমনি বিদেশ থেকে করোনা নিয়ে যদি কেউ আসে গাদাগাদি করে দাঁড়ানো হাজার হাজার মানুষের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সমস্যা সমাধানে আমার দুটি পরামর্শ আছে। প্রথম কথা, কপালের কাছে জ্বর মাপার যন্ত্র এনে জ্বর না মেপে আধুনিক থার্মাল স্ক্যানার বসান। পৃথিবীর সব বিমানবন্দরে সেটাই আছে। যারা আসবেন তারা একেকজন করে পার হয়ে যাবে। তবে স্ক্যানার কাউকে সন্দেহ করলে এরপর আবার পরীক্ষা হবে। দ্বিতীয় কথা, বাংলাদেশে করোনা এখনো সেভাবে ছড়ায়নি। কাজেই খারাপ কিছু হওয়ার আগেই সেইসব দেশের নাগরিকদের এক মাসের জন্য বাংলাদেশে আসা বন্ধ করে দেন যেখানে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। আমি বলবো করোনা মোকাবেলায় আমরা যতো সময় পেয়েছি সেই তুলনয় আমাদের অর্জন কম। কাজেই আরও দেরি হওয়ার আগেই চলুন সচেতন হই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :