শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ মার্চ, ২০২০, ০৪:৫২ সকাল
আপডেট : ১৩ মার্চ, ২০২০, ০৪:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পৃথিবীতে করোনাভাইরাস নিয়ে কেন এতো আতঙ্ক?

কামরুল হাসান মামুন

ইতালি ও ফিনল্যান্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা এক্সপোনেনশিয়াললি বাড়ছে। এক্সপোনেনশিয়াললি বাড়া মানে সময়ের সমান দূরত্বে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ আকারে বাড়ে। আজকে যদি এক টাকা জমাই, কালকে জমাই দুই টাকা, পরশু চার টাকা, এরপরের দিন আট টাকা করে জমাতে থাকলে এই বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে এক্সপোনেনশিয়াল বৃদ্ধি বলে। এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথ নিয়ে একটি জনপ্রিয় গল্প আছে। এক রাজা এক জ্ঞানী ব্যক্তিকে অনেক পরিমাণ টাকা পুরস্কৃত করতে চেয়েছিলেন। জ্ঞানী ব্যক্তিটি রাজাকে বললেন, হুজুর আপনি এতো টাকা এভাবে একদিনে না দিয়ে আমাকে এই দাবা বোর্ডের প্রথম দিন প্রথম স্কয়ারের জন্য এক টাকা, পরের দিন দ্বিতীয় স্কয়ারের জন্য দুই টাকা, তৃতীয় দিন তৃতীয় স্কয়ারের জন্য চার টাকা করে দাবা বোর্ডের ৬৪টি ঘরের জন্য ৬৪ দিন দিলেই হবে।
রাজা তো ভীষণ খুশি আর মনে মনে ভাবছে যাকে সবাই এতো জ্ঞানী ভাবে সে এতো বোকা কেন? কিন্তু রাজা কিছুদিন যেতেই টের পেলেন কি বলদামিই না তিনি করেছেন। রাজা দেখেন ২৪তম দিনেই ৮ মিলিয়ন অর্থাৎ ৮০ লাখ টাকা হয়ে যায়। আর ৩২তম দিনে ২০০ কোটি টাকা হয়ে যায়। এর নাম এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথ। এখন বুঝতে পারছেন সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাস নিয়ে কেন এতো আতঙ্ক? কতো মানুষ মারা যাচ্ছে বা কোন বয়সের মানুষরা ‘মারা যাচ্ছে তার চেয়ে বড় আতঙ্কের বিষয় হলো এর গ্রোথ প্যাটার্ন। এই সংখ্যার ১-২ শতাংশ মানুষ মারা গেলেও মৃতের সংখ্যা অনেক হবে।
২. আমি ভাবছি বাংলাদেশে যারা খাদ্যে ভেজাল আর বিষ মেশায় তাদের একটি গ্র্যান্ড ধন্যবাদ দেবো। আমি ভাবছি সরকারের ব্যর্থতায় এই যে আজীবন আমরা বিষাক্ত বাতাস সেবন করতে থাকলাম তার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ দেবো। এ সব বিষাক্ত খাবার খাওয়া, বিষাক্ত বাতাস সেবন আর বিষাক্ত পানি পানের কারণে আমাদের শরীর প্রাকৃতিকভাবেই একধরনের ইমিউনিটি ডেভেলপ করেছে। তাদের ভালো করার নিয়ত না থাকলেও নিজের অজান্তে ভালো করে ফেলেছে। আমরা ধুঁকতে ধুঁকতে আর মরতে মরতে এমন পর্যায়ে এসে গেছি যে মাঝে মধ্যে প্রশ্ন করি আমরা মানুষ তো? শুধু আমরা নই।
দক্ষিণ এশিয়ার ভুটান ব্যতীত কমবেশি বাকি সবগুলো দেশের অবস্থায় প্রায় একই। তাই তো ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশে করোনার প্রভাব তেমন নেই বললেই চলে। ভারত ও পাকিস্তনের সঙ্গে চীনের সরাসরি বর্ডার আছে। এছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্কও ভালো। এমনকি পাকিস্তানের প্রচুর ছাত্রছাত্রী এখন চীনে পড়াশোনা করে। তথাপি পাকিস্তানে করোনার আক্রমণের কথা তেমন শোনা যাচ্ছে না। এর একটি কারণ হতে পারে ডায়াগনসিসের ব্যর্থতা। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়