অনলাইন রিপোর্ট: [২] এবারের সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন আলোচিত ও সমালোচিত এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মেদ। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০ প্রদান বিষয়ক একটি সংশোধিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। ওই তালিকায় সাহিত্যে স্বাধীনতা পদক পাওয়া এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মেদের নাম বাদ পড়ে। তবে সাহিত্য ক্যাটাগরিতে নতুন কারো নামও ঘোষণা করা হয়নি। যার ফলে এবারের স্বাধীনতা পদকে সাহিত্য ক্যাটাগরিই বাদ পড়েছে।
[৩] গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০ পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নয়জন ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই তালিকায়।তবে এই নাম ঘোষণার পর সামাজিক মাধ্যমে এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদকে নিয়ে বেশ আলোচনা তৈরি হয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকেই পোস্ট করেছেন মি. আহম্মদের নাম এর আগে তারা শোনেননি বা তার কোন সাহিত্য কর্ম সম্পর্কে তাদের জানা নেই। বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালকসহ বেশ কয়েকজনকে এনিয়ে তাদের মতামত দিতে দেখা গেছে।
[৪] বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান আর ফেসবুকে লিখেন ‘এবার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন রইজউদ্দীন, ইনি কে? চিনি না তো। কালীপদ দাসই বা কে! হায়! স্বাধীনতা পুরস্কার!’
[৫] সাবেক সরকারি কর্মকর্তা রইজ উদ্দিন আহম্মদ পুরস্কার পাওয়ার খবরের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমি তো ভাষা হারিয়ে ফেললাম, আমিতো বিস্ময়াভিভূত হয়ে পড়েছি। পুরস্কার প্রাপ্তিতে আনন্দ লাগার কথা, ভালো লাগার কথা, তাই আমারো ভালো লেগেছে ,আনন্দ লেগেছে। আমার জীবনে এটা একটা সারপ্রাইজের কথা বলে মানুষ, এটা তেমন একটা বিষয়’।
[৬] রইজ উদ্দিন আহম্মদের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে অনেকেই জানেন না-এই বিষয়ে তিনি বলেন ‘আমি প্রচারবিমুখ, আমার প্রচারের জন্য গাংচিল আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ আছে। এর শাখা দেশের সব জেলাতে আছে, বিদেশে আছে। আমি এটার কেন্দ্রীয় সভাপতি। হাজার হাজার তৃণমূল পর্যায়ের কবি আমাকে ভালো জানে, আমিও তাদের জানি’।
[৬] তিনি আরো বলেন ‘রাজধানীর (ঢাকার) যারা কৌলিন্যের দাবিদার সেখানে আমি খুব একটা পরিচিত না। একেবারে সেখানে অনুষ্ঠান করিনি তা না। কিন্তু এখন অনেকেই না চেনার ভান করবে। এটা তাদের ব্যাপার। আর পরিচিত হওয়ার জন্য প্রচেষ্টাও আবার খুব একটা ছিল ন ’।
[৭] রইজ উদ্দিন আহম্মদের ৩০ টির বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক ইতিহাস, বাংলাদেশের নদনদী নিয়ে তিনি লেখালেখি করেছেন।মি. আহম্মদের কবিতার বইয়ের মধ্যে রয়েছে, কেমন করে স্বাধীন হলাম, হ-য-ব-র-ল, পাখি সব করে রব, বাংলার যত ফুল ও হারানো প্রিয়া (কাহিনী কাব্য)। সূত্র: যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :