আসিফ কাজল : [২] বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের বক্তব্য প্রতিবেশীই প্রথম। যার অর্থ বিশেষ বন্ধুত্বের কথা। অথচ চলতি বছরের প্রথম ২৩ দিনে ১০ জন বাংলাদেশী বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। গত বছর এ হত্যার সংখ্যা ছিলো ৩৮ জন।
[৩] বাংলাদেশ- ভারত সম্পর্ক চলমান পরিস্থিতি প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতি সেমিনারে বাংলা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী আবু হেনা রাজ্জাকী এসব কথা বলেন।
[৪] তিনি বলেন, সীমান্তে চোরাচালান ও বিভিন্ন অপরাধ রোধ করতে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করতে লাগে না। এটাই সভ্য দুনিয়ার রীতি। কিন্তু বিজিবি ও বিএসএফ একাধিক বৈঠকের পরও প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়। এর পরেও বিনা বিচারে বাংলাদেশী হত্যা দুর্ভাগ্যজনক। অথচ ভারতের সঙ্গে চীন-পাকিস্থান-নেপাল-মিয়ানমার ও ভুটানের সীমান্ত রয়েছে।
[৫] ভারত আমাদের তুলনায় এত বড় এবং এত ক্ষমতাশালী যে আমরা তাদের কাছে আবেদন করতে পারি উল্লেখ করে রাজ্জাকী বলেন, তারা যদি সদিচ্ছা প্রকাশ করতো তবে সীমান্তে মানব হত্যা বন্ধ হতো। যা ৭২ বছরের সিটমহল সমস্যা ৭২ ঘণ্টায় সমাধান হতে দেখেছি। সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতের সদিচ্ছার আহবান জানান তিনি।
[৬] ভারতের সাউথ ক্যালক্যাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নম্রতা কোঠারি বলেন, সীমান্তে হত্যার ঘটনা ভারতকে খুঁজে বের করতে হবে। ভারতের নাগরিত্ব আইন সম্পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, এর কোনো চাপ বাংলাদেশের উপর পড়বে না।
[৭] এটিএন বাংলার সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব বলেন, একটি এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়ির পাশে অন্য কেউ যদি বাড়ি তৈরি করে। তা যদি তার থেকেও সুউচ্চ হয় তা ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি খুব ভালভাবে দেখে না। তবে ভারত বাংলাদেশ কূটনৈতিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক যে সম্পর্কই থাকুক না কেনো দুদেশের মানুষই পারস্পরিকভাবে যথেষ্ট আন্তরিক একে অপরের জন্য।
[৮] এছাড়াও ভারতের কাশ্মীর ইস্যু ও সম্প্রতি পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার ঢাকা সফর নিয়ে আলোকপাত করা হয়।
[৯] বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবুল কাশেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে মো. ইনামুল হক, প্রফেসর সাহাব এনাম খান ও ভারতের বিমল শংকর নন্দা বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন :