মাজহারুল ইসলাম : [২] বন্দরগুলো হলো, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা, যশোরের বেনাপোল, দিনাজপুরের হিলি, সাতক্ষীরার ভোমরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ, কুমিল্লার বিবির বাজার, দিনাজপুরের বিরল, টেকনাফ, ময়মনসিংয়ের হালুয়াঘাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ারার আখাউড়া, লালমনিহাটের বুড়িমারী, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, সিলেটের তামাবিল ও সুতারকান্দি এবং কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর।
[৩] সম্প্রতি সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। গোয়েন্দারা এসব বন্দরে জরুরি ভিত্তিতে 'থার্মাল স্ক্যানার' বসানোর পরামর্শ দিলেও তোয়াক্কা করেনি কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাস শনাক্তে নামেমাত্র 'হ্যান্ড ইনফারেট থার্মমিটার' দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। এর ফলে দেশের বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে।
[৪] গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, হযরত শাহ জালাল ও শাহ আমানত বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যেমে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু স্থল বন্দরগুলোতে এ প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় ঝুুুঁকির বিষয়টি অনুধাবন করেন গোয়েন্দারা।
[৫] এরপর সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত ২৬ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আগত করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনান্ত করতে জেলা সিভিল সার্জন ও পোর্ট হেলথ অফিসারদের থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানোসহ মেডিকেল টিম মোতায়েনের জন্য ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্টদের মৌখিক নির্দেশনা দেন। তারপর ২৮ জানুয়ারি থেকে ভোমরা ইমিগ্রেশনে থার্মাল স্ক্যানার মেশিন, বেনাপোল ও মোংলায় শর্ট থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শুরু করা হয় বলে গোয়েন্দা সংস্থাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
[৬] ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, দর্শনা, হিলি, কুমিল্লা বিবির বাজার, আখাউড়া, বেনাপোল রেলওয়ে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ দেশের অন্যান্য ইমগ্রেশনে স্থানীয় সিভিল সার্জন নিয়োজিত ডাক্তার দিয়ে ম্যানুয়ালি করোনাভাইরাস শনাক্তের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
[৭] বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এখনো অচল রয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য সেখানে শুধু নামেমাত্র হ্যান্ড ইনফারেট থার্মমিটার দিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। যায়যায়দিন
আপনার মতামত লিখুন :