রিফাত হাসান: এবার ‘ই’দ, মানে প্রমিত বাংলা একাডেমির ব্যারাম তেমন ছিলো না। কোনো একটা ফোন কোম্পানির ফেসবুক ক্যাম্পেইনে ‘ই’দ দেখা গিয়েছিলো একটু, তারপর আর নয়। ওইখানে দেখলাম সবাই হাসাহাসি করলো। আমার তো প্রিন্ট মিডিয়া বা ঈদ সংখ্যা দেখা হয়নি। ওইখানে কেমন ছিলো? কলকাতার একই দিনে ঈদ হলো, কলকাতার বানানে হলো না, এইটা আমাদের ভাষা আন্দোলনও বটে, ম্যাড়মেড়ে কলকাতার বিরুদ্ধে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এবার তাদের নিজেদের ভাষা আন্দোলন এলো বুঝি।
আমাদের সর্বস্তরে প্রমিতের বিরুদ্ধে জেহাদ, তাদের হিন্দি বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে, তাদের তাহজিব তমদ্দুন রক্ষার তমদ্দুন মজলিস হিসেবে আপাতত দেখা যাচ্ছে বাংলাপক্ষ নামের সংগঠন। জাতীয়তাবাদ ও ফেসিজমের সব রকম ব্যারাম তাদের তৎপরতায় আছে, কিন্তু তাদের ভাষা আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো। এর গুরুত্ব আগামী দিনে আরও পরিষ্কার হবে।
আমাদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে সন্ত্রাসী ও সম্প্রসারণবাদী অখ- ইনডিয়ান ইউনিয়নের নিরাপত্তা কৌশলের রাজনীতি, আর তাদের কনসার্ন এই ইউনিয়নের ভেতরে বইসাই স্রেফ ভাষা প্রশ্ন, যা আমরা বাহান্নে শেষ করেছি ও তারপর একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এটাও গুরুত্বপূর্ণ বটে, তবে দিল্লি হনুজ দূর অস্ত। তাদের স্লোগান জয় বাংলা। একাত্তরে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আন্দোলন থেকে এর উৎপত্তি হলেও জয় বাংলা এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কেবল একটি ফ্যাসিস্ট দলের স্লোগান, সব ধরনের গুম খুন ও ভেদাভেদের রাজনীতির বৈধতা দিতে ব্যবহৃত হয়, তারা এই স্লোগানটিকে নিজেদের আন্দোলনে গ্রহণ করেছে। মাঝখানে অর্ধ শতাব্দীর ফারাক। এই ফারাককে অতিক্রম করে তাদের জয় বাংলা নতুন কী কথা বলতে পারবে? ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন থেকে তাদের কোনো মুক্তিযুদ্ধ হবে কি? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :