সাইফুর রহমান : [২] চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হওয়া এই ভাইরাস গত তিন মাসে এনিয়ে ৩৮০ বার জিন বদলেছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। যা বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিজ্ঞানীদেরও ভাবিয়ে তুলেছে। ফলে এর টিকা আবিষ্কারে অগ্রগতি হলেও তা শেষ পর্যন্ত কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গবেষকরা। সিএনএন, এবিসি নিউজ, আনন্দবাজার
[৩] হিউম্যান প্যাথোজেনিক ভাইরাসের সংক্রমণজনিত রোগের গবেষক ইন্দ্রণীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এত কম সময়ের মধ্যে ঘন ঘন জিন মিউটেশন করে নিজের চরিত্র বদলে ফেলা ভাইরাস প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট কোনও ওষুধ ব্যবহার করা মুশকিল।
[৪] প্রায় দু’দশক ধরে করোনা গোত্রের ভাইরাস নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তিত। ১৮ বছর আগে ছড়িয়ে পড়া সার্সও বিজ্ঞানীদের ঘুম হারাম করে দিয়েছিলো। ২০১২ সালে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া মিডলইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স)ও ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছিলো। কিন্তু ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ফলে গণহারে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায় বিশ্ববাসী।
[৫] কোভিড-১৯ও একই গোত্রেরই জীবানু, কিন্তু এর চরিত্রগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। ঘন ঘন চরিত্র বদলানোয় প্রতিষেধক নিয়ে নানান পরীক্ষা চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর ভ্যাক্সিন আবিস্কার সম্ভব হয় নি।
[৬] সর্বশেষ গবেষকরা এখন হোস্ট ডিরেক্টেড থেরাপির কথা ভাবছেন। এই পদ্ধতিতে মানুষের জিনের যে প্রোটিনের ওপর কোভিড-১৯ ভাইরাসটি বেড়ে ওঠে, তাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হবে। তাতেই ভাইরাসটি প্রতিরোধ হবে বলে আশাবাদ বিজ্ঞানীদের।
আপনার মতামত লিখুন :