সাইফুর রহমান : [২] ভারতের মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, কেরালা এবং কর্ণাটক মিলিয়ে কোবিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ তে । এনিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে বাড়ছে গুজবও। যার ফরে সাধারণ মানুষ অতঙ্কিত হওয়ায় বিরুপ প্রভাব পড়েছে পোল্ট্রি শিল্পে।জীবিত পুঁতে ফেলা হলো ১৫ হাজার ব্রয়লার মুরগী । নিউজ১৮, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেকানহেরাল্ড
[৩] গুজবের কারণে ভোক্তাদের মনে বদ্ধমূল ধারণা, মুরগীর মাধ্যমে ছড়াতে পারে কোভিড-১৯ । আবার কারো মতে, ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পুরোপুরি নিরামিশাষী হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এর জেরে লোকসানের মুখে কর্ণাটকের বেলাগবি জেলায় এক দোকানের ৬ হাজার এবং কোলার জেলার একটি পোল্ট্রি খামারে ৯ হাজার মুরগি জ্যান্ত পুঁতে ফেলা হয়।
[৪] ভারতে সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে মুরগির দর পতন হয়ে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছিলো ৫০-৭০ রুপিতে। বিক্রি কমে যাওয়ায় কেজিপ্রতি দর আরও ৫-১০ রুপি কমিয়েও ক্রেতার দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। আর এর ফলে হু হু করে বাড়ছে মাছ, খাসি এবং সবজির দাম।
[৫] এদিকে উত্তরপ্রদেশের লখনউ ও মুজফরনগরের জেলাপ্রশাসন খোলা দোকানে মুরগির মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। পাঞ্জাবের একটি বেসরকারি খাদ্যসংস্থার কর্মকর্তা রাজীব জয় সিংঘানিয়া দাবি করেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ভুল প্রচারের জেরেই মানুষের মধ্যে এতটা আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
[৬] এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নোবেল করোনাভাইরাসের সঙ্গে মুরগীর মাংসের কোনও যোগসূত্র নেই। পাশাপাশি পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের ইতিবাচক প্রচার-প্রচারণায়ও ভোক্তাদের আতঙ্ক কাটছে না।
আপনার মতামত লিখুন :