শরীফ শাওন : [২] যাত্রীদের অভিযোগ, যাত্রীসংখ্যা বেশি হলেও থার্মাল স্ক্যানার সংকটে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বলেন, একটু সময় তো লাগবেই। ধৈর্য্য সহকারে সহযোগিতা করলে সঠিকভাবেই স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের পরীক্ষা করতে পারবে।
[৩] বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরটি দিয়ে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। চারটি থার্মাল স্ক্যানারের সচল ২ টি। এছাড়াও রয়েছে হ্যান্ডহেল্ড ইনফ্রারেড স্ক্যানার। শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে মনিটর এবং অডিও সিগন্যালের ব্যবস্থা রয়েছে।
[৪] গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে দেশে আসেন মোহাম্মদ হালিম জানান, বিমান থেকে নামলে হেলথ কার্ড দিলেও স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, পূরণ করার দরকার নেই, খালি ফর্ম জমা দিয়ে চলে যান। তিনি বলেন, কেনইবা নিতে বলা হলো, এর কাজটা কী সেটাও বুঝলাম না।
[৫] বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি এয়ারলাইন্স ফ্লাইটে যাত্রীদের হেলথ ডিক্লারেশন কার্ড সরবরাহ করছে না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সকে জরিমানা করার প্রস্তাবও উঠে আসে বৈঠকে।
[৬] দেখা গেছে, কিছু দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্স হ্যান্ড গ্লাভস ছাড়াই যাত্রীদের সংস্পর্শে এসে তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন।
[৭] স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রয়েছে দুটি অ্যাম্বুলেন্স, কোভিড-১৯ এর জন্য যুক্ত হয়েছে একটি। চালকদের সাথে নেই কোন স্বাস্থ্যকর্মী। নিজ উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্সটি জীবাণুমুক্ত করলেও তা কতটা কার্যকর এবং তাদের স্বাস্থ্য নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
[৮] বন্দরটির পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান বলেন, যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য বিভাগের, আমরা তাদের সহায়তা করি।
[৯] জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এটা কেবল স্বাস্থ্য বিভাগের একার কাজ না, সমন্বিতভাবে এর সমাধান করতে হবে। যাত্রী দুর্ভোগে আমরা মনিটর করছি। সন্দেহ হলে ডিউটিরতদের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করে ফিডব্যাক দেওয়ার কাজগুলোও করছি। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন, সময়
আপনার মতামত লিখুন :