শাহীন খন্দকার: [২] শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন ইতিমধ্যে দেশে এসে বাকি দুটি বুধবার রাতেই চলে আসবে বলে জানালেন, সরকারের রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা । তিনি বলেন ইতিমধ্যে ৩ বসানো হয়েছে। তিনটি মেশিনের মধ্যে একটি ভিআইপি জোনে, বাকি দুটি সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতের স্থানে বসানো হয়েছে। তবে ইতিপূর্বে যে থার্মাল স্ক্যানার বিকল হয়ে পড়েছিলো তা সচল হয়েছে। হ্যান্ডহেল্ড ইনফ্রারেড স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়।
[৩] হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য বিভাগ করে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের শনাক্তের সময় সুরক্ষা ব্যবস্থা কথাও জানালেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, শাহজালাল বিমানবন্দর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, কোভিড-১৯ এর জন্য আরও একটি অ্যাম্বুলেন্স যুক্ত হয়েছে সেখানে। এসব অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনার জন্য পাঁচ জন গাড়িচালক নিয়োজিত আছেন। বিমানবন্দর থেকে সন্দেহভাজনদের এসব অ্যাম্বুলেন্সে করেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
[৪] জাতীয় রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক যাত্রীদের মনিটরিংয়ে দুর্বলতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা সিরিয়াসলি কাজ করছি। আমাদের দিক থেকে মনিটর করা হচ্ছে। সন্দেহ হলে সেসময় ডিউটিতে কে ছিল, সেটা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বের করে তাদের ফিডব্যাক দেওয়ার মতো কাজগুলোও করছি।
[৫] তিনি বলেন, যেহেতু এটা সমন্বিত প্রয়াস, আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। এটা কেবল একা স্বাস্থ্য বিভাগ করছে না, সমন্বিতভাবেই এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবে প্রতিদিনই এসব ব্যবস্থা বেটার থেকেও বেটার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
আপনার মতামত লিখুন :