শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১ মার্চ, ২০২০, ১১:১৬ দুপুর
আপডেট : ১১ মার্চ, ২০২০, ১১:১৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ফিতনা থেকে বাঁচার উপায়!

ইসমাঈল আযহার: [২] আমরা অনেক সময় বলি, বর্তমান যুগটি ফিতনার যুগ। কথাটা অবাস্তব নয়। ফিতনা যদিও সব যুগেই ছিল, কিন্তু নবী-যুগ থেকে দূরত্ব যত বাড়ছে ফিতনার অন্ধকারও ততই বাড়ছে। তাছাড়া বর্তমান যুগের ফিতনাসমূহের মুখোমুখীও যেহেতু তারাই হচ্ছি, যারা এ যুগের মানুষ; তাই স্বভাবতই সমকালীন ফিতনাসমূহই আমাদের মন-মস্তিষ্কে বেশি রেখাপাত করছে।

[৩] ফিতনা কম হোক বা বেশি, সব যুগেই তা ছিল। কিয়ামতের আগে আরো যে কত ভয়াবহ ফিতনা প্রকাশিত হবে- তা হাদীস শরীফের মনোযোগী পাঠকের নিশ্চয়ই অজানা নয়। কাজেই ফিতনা ও তার বিস্তারে সন্ত্রস্ত না হয়ে প্রতিটি ফিতনাকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারা এবং তা থেকে বাঁচার সঠিক পথটি বুঝে নিতে পারাই হচ্ছে প্রথম কাজ। এ হলে ফিতনা থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়।

[৪] উম্মতে মুসলিমার প্রতি আল্লাহ তাআলার অতি বড় দয়া যে, ফিতনা-ফাসাদের যুগেও সিরাতে মুসতাকীম কোনটি তা জানার ও বোঝার উপায় আছে। আল্লাহ তাআলা কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শিক্ষাকে নিখুঁতভাবে সংরক্ষণ করেছেন, যার দ্বারা হক-বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট হয়ে যায়।

[৫] যত রকমের ফিতনাই প্রকাশিত হোক- কুরআন-সুন্নাহ্য় আছে ঐ ফিতনার স্বরূপ ও তা থেকে মুক্তির যথার্থ পথনির্দেশ। তবে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কুরআন-সুন্নাহ থেকে মুক্তি ও সাফল্যের পথ পেতে হলে কুরআন-সুন্নাহ্র নির্দেশনার প্রতি আস্থা ও সমর্পন থাকতে হবে।

[৭] এখানে যে বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, আলেম হওয়া মানে ফেরেশতা হওয়া নয়, মাসুম হওয়াও নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে স্বাভাবিক দ্বীনী প্রজ্ঞার অভাবে দু’ধরনের প্রান্তিক মনোভাবই লক্ষ্য করা যায় : মুসলিমসমাজে ক্ষেত্রবিশেষে অতিভক্তি প্রবণতার যেমন অভাব নেই তেমনি ঢালাও অভিযোগ ও অবাস্তব সমীকরণেরও যেন

[৮] ধর্মীয় ক্ষেত্রেও যোগ্য ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্বের সন্ধান অপরিহার্য। এখানে বিচার-বিবেচনাহীন অন্ধভক্তি যেমন ক্ষতিকর তেমনি ঢালাও অভিযোগ-প্রবণতাও। দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, বর্তমান মুসলিমসমাজে উভয় শ্রেণির ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। নানামুখী ফিতনার প্রসার ও বিস্তারের এটাও অন্যতম প্রধান কারণ।

[৯] এই ফিতনা-গ্রস্ততা থেকে মুক্তির জন্য দ্বীনী ইলমের পঠন-পাঠনে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের যেমন কিছু করণীয় আছে তেমনি আছে সাধারণ মুসলিম, যারা আলিমদের নিকট থেকে দ্বীনী শিক্ষা গ্রহণ করছেন তাদেরও। সাধারণ মুসলিম জনগণের কর্তব্য হচ্ছে, অহং ও শৈথিল্য উভয় প্রকারের মনোভাব ত্যাগ করে সঠিক দ্বীনী ইলমের অন্বেষণ ও অনুসরণে কৃতসংকল্প হওয়া এবং দ্বীনী ইলমে পারদর্শী মুত্তাকী ব্যক্তিত্বের সন্ধানে প্রবৃত্ত হওয়া। হক্কানী উলামায়ে কেরামের সাহচর্যের মাধ্যমে কুরআন-সুন্নাহ্র সঠিক ইলম অর্জন করে সে অনুযায়ী জীবন ও কর্মকে সজ্জিত করার চেষ্টা করা।

[১০] কে না জানেন যে, খাস-আম সকল মুসলিমের যাঁরা আদর্শ সেই আম্বিয়ায়ে কেরাম, বিশেষত শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য এই ছিল যে, করণীয়-বর্জনীয় উভয় ক্ষেত্রেই তাঁরা ছিলেন উম্মতের আদর্শ। যে আদর্শ তারা নিয়ে এসেছিলেন সেই আদর্শের শ্রেষ্ঠ ও প্রথম অনুসারী ছিলেন তাঁরাই।

[১১] বর্তমান ফিতনার যুগে ইসলামের সঠিক শিক্ষার উপরে থাকতে হলে এবং ইসলামের সঠিক শিক্ষা সর্বস্তরের জনগণের সামনে স্পষ্ট ও বাধাহীনভাবে উপস্থাপন করতে হলে ইলমী-আমলী উভয় ক্ষেত্রে অগ্রসরতা ও অবিচলতার কোনো বিকল্প নেই। এককথায় সব শ্রেণির মাঝে ইলম ও তাকওয়ার ব্যাপক চর্চাই হচ্ছে ফিতনার যুগে ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার প্রধান উপায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়