বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] ঢাকা শিশু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এমদাদুল হক জানান, করোনাভাইরাসের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা হয় না। রোগীর উপসর্গ বিচার করে ওষুধ দেওয়া হয়। যেমন জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল, কখনও কখনও ব্যথা কমানোর ওষুধ,ইত্যাদি। এবং রোগী যাতে পর্যাপ্ত পানি খান তা দেখা। পানি স্বল্পতা যাতে না হয় তার জন্য স্যালাইন।
[৩]তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বের যে অভিজ্ঞতা তাতে বলা যায়, এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার ২ শতাংশের সামান্য বেশি, এবং অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে তাঁদের নিজেদের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাই রোগের মোকাবিলা করতে সক্ষম। উপসর্গ-ভিত্তিক চিকিৎসায় ভালোরকম সাড়া দেন তাঁরা, এবং সেরে উঠে বাড়িও ফিরে যান।
[৪] তিনি জানান, নভেল করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় দুটি দ্বিতীয় শ্রেণীর এইচআইভি-র ওষুধ ভারতে ব্যবহার করার অনুমোদন দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ । লোপিনাভির এবং রিটোনাভির এই দুটি ওষুধের মিশ্রণ জরুরিকালীন চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার অনুমোদন করা হয়েছে। তবে দুটি ওষুধের ব্যবহারের জন্যই কিছু নির্দেশিকা গঠিত হয়েছে। তবে ওষুধগুলির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
[৫] গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য বৈজ্ঞানিক ডাঃ সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছিলেন, “চিনে (এই মিশ্রনের) ছোটখাটো কিছু পরীক্ষার ফল নেতিবাচক হয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :