শিরোনাম
◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১১ মার্চ, ২০২০, ০৬:৫১ সকাল
আপডেট : ১১ মার্চ, ২০২০, ০৬:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সায়েদাবাদ টার্মিনাল: এক ইজারা ‘বিক্রি’ তিনজনের কাছে

সানাউল হক সানী :[২] সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের টোল আদায়ের সহযোগিতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পান মেয়র মোহাম্মদ হানিফ স্মৃতি সংসদের সভাপতি মো. মানিক। শর্তানুযায়ী তিনি ১০ লাখ ৩৫ হাজার ২৫০ টাকা জামানতসহ দৈনিক ৬৮ হাজার ৭৫০ টাকা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তহবিলে জমা দেবেন। কিন্তু মানিক সে দায়িত্ব নিজে পালন না করে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন। তাও আবার দুই ব্যক্তির কাছে। তাই বর্তমানে টার্মিনালের টোল আদায় নিয়ে দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে। দৈনিক আমাদের সময়

[৩]  জানা গেছে, সায়েদাবাদ টার্মিনালে অবস্থানরত বিভিন্ন পরিবহন থেকে নির্দিষ্ট হারে টোল আদায়ের জন্য গত ২৮ আগস্ট মানিককে সহযোগী হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয় ডিএসসিসি। সে কাজ অবশ্য নিয়মবহির্র্ভূতভাবে কামাল হোসেন নামে এক পরিবহন শ্রমিকনেতার কাছে বিক্রি করে দেন তিনি। এক্ষেত্রে ডিএসসিসির শর্তপূরণের পাশাপাশি মানিককে দৈনিক ৮ হাজার টাকা করে দেওয়ার চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী, জামানতের পুরো টাকা পরিশোধের পর মানিককে

[৪]  আরও ১০ লাখা অতিরিক্ত দেন কামাল। এ ছাড়া টার্মিনাল নিয়ে হওয়া একটি মামলা পরিচালনাসহ অন্যান্য কাজে ব্যয় করেন আরও ৮ লাখ টাকা। এ জন্য কামালের শর্ত, ডিএসসিসি থেকে মূল রাজস্ব আদায়কারীকে (মানিক) অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সে দায়িত্ব তার কাছে থাকবে।

[৫]  সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু সেই চুক্তি ভেঙে গত ৪ মার্চ ইজারা আদায়ের ক্ষমতা বাচ্চু মিয়া নামে অপর এক শ্রমিকনেতার কাছে বিক্রি করে দেন মানিক। এ নিয়ে টার্মিনাল দখলে থাকা কামাল হোসেন এবং বাচ্চুর লোকজন মুখোমুখি অবস্থানে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে খোদ ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ। তাই বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সিটি করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপকের (পরিবহন) অফিসে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। যদিও সুরাহা হয়নি।

[৬]  এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, নিয়মানুযায়ী মানিককে দেওয়া ডিএসসিসির ক্ষমতা অন্য কারও কাছে হস্তান্তরযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি অপারগ হলে সিটি করপোরেশন তার নিয়োগাদেশ প্রত্যাহার করে নতুন কাউকে নিয়োগ দেবে। নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির কোনোভাবেই টার্মিনালের ইজারা তৃতীয়পক্ষের কাছে বিক্রি বা হস্তান্তরের আইনগত সুযোগ নেই।

[৭]  বর্তমানে টোল আদায়কারীর দায়িত্বে থাকা কামাল হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, ‘মানিক টোল আদায়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সেটা আমার কাছে বিক্রি করে দেয়। কথা ছিল করপোরেশনের সব টাকা পরিশোধের পর তাকে আমি দৈনিক ৮ হাজার টাকা করে দেব। এ পর্যন্ত অনেক টাকা ব্যয় করেছি। এখনো কোনো আয় করার সুযোগ হয়নি। এ অবস্থায় সে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করেই কাজটি আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।’

[৮]  এ বিষয়ে মো. মানিক বলেন, ‘নীতিগতভাবে আমি অন্যজনকে ইজারার দায়িত্ব দিতে পারি না। তবে কামালকে দায়িত্ব দিলেও তিনি ঠিকমতো কাজ করেননি। তার টাকাও ফেরত দিতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি নেননি।’

[৯]  জানতে চাইলে ডিএসসিসির পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নিতাইচন্দ্র সেন আমাদের সময়কে শুধু বলেন, ‘বিষয়টি অফিসিয়ালি এখনো জানি না। তাই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়