নিউজ ডেস্ক : [২] চাঁদপুরের চরাঞ্চলবাসীর ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ দেয়া কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক দুটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স অযত্ন আর অব্যবস্থাপনায় নষ্ট হয়ে গেছে। চালক না থাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সও একদিনের জন্যও ব্যবহার হয়নি। ডিবিসি
[৩] চাঁদপুরের হাইমচর, সদর, মতলব উত্তর এবং দক্ষিণ উপজেলায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে অন্তত পঁচিশটি চরে বসবাস করে কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। দরিদ্র এসব চরাঞ্চলবাসীর জন্য ২০০৮ সালে কোটি টাকা মূল্যের একটি অত্যাধুনিক নৌ-অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
[৪] চালক নিয়োগসহ নানা জটিলতায় একদিনের জন্যও ব্যবহার হয়নি অ্যাম্বুলেন্সটি। এখন এটির জায়গা হয়েছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের প্রবেশমুখে। এ অবস্থায় ২০১৮ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে এরকম আরও একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেয়া হয়। নানা জটিলতায় সেটিও নষ্ট হওয়ার পথে।
[৫] দুঃসময়ে এই নৌ অ্যাম্বুলেণ্সের সেবা পান না রোগীরা। যাদের জন্য এই অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ তারাই জানেন না এর কথা। চাঁদপুর সদর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন বলেন, সেব প্রতিষ্ঠানে 'বহির্বিভাগ,অন্তঃবিভাগ' আছে সেখানে এগুলো দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
[৬] চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. এ এইচ এম সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, "অনেকেই নৌ-যানের অভাবে হাসপাতালে আসতে পারেন না, তারা আসতে পারলে আমরা চিকিৎসা দিতে পারতাম। অ্যাম্বুলেন্সগুলো বসিয়ে রেখে নষ্ট না করে তা অন্য কোনো হাসপাতাল কৃর্তপক্ষকে দেয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। অনুলিখন : রাকিবুল
আপনার মতামত লিখুন :