সাদ্দাম হোসেন,ঠাকুরগাঁও : [২] প্রায় চার বছর আগে ঠাকুরগাঁও চিনিকলটিকে আধুনিকরণের উদ্যোক্ত নেয়া হলেও এখন কাজ শুরু হয়নি । একনেকের বিশেষ সভায় মিলটির উন্নয়ন জন্য ৫শ কোটি টাকা অনুমোদন দেয় সরকার। তবে লাল ফিতার দৌড়াত্মে ফাইল নড়ছে না এই অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের ।
[৩] আখচাষি সমিতির নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন সরকারের সদ্বিচ্ছা আছে শুধু মাত্র আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় প্রকল্পের কাজ এগুচ্ছে না । শ্রমিক নেতা ওবায়দুর রহমান বলেন প্রকল্পের কাজ শুরু হলে নতুন চাষী তৈরি হবে আখচাষের জন্য । এতে কাচাঁমালের সংকট অনেকাংশ দুর হবে এবং চিনি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এই মিলে।
[৪] জানা গেছে, ১৯৫৬ সালে প্রায় দুই কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ একর জমি উপর চিনিকলটির নির্মাণ শুরু হয়। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যায় ১৯৫৯ সালে। শুরুতেই চিনি আহরণের হার ছিল শতকরা ৮-৯ ভাগ। কিন্তু বর্তমানে জরাজীর্ণ যন্ত্রপাতি জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে চলছে কারখানাটি। হ্রাস পেয়েছে চিনি আহরণের হার। উৎপাদন শক্তিও হারিয়ে ফেলেছে ৬০ বছরের প্রাচীন এই কারখানাটি।
[৫] ঠাকুরগাঁও সুগারক্রপস গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোতে যে পদ্ধতিতে চিনি উৎপাদন হচ্ছে, এতে প্রতি কেজি চিনি উৎপাদনে খরচ হয় ২শ’ টাকা। আর বিক্রি করছে ৫০-৬০ টাকা দরে। মিলগুলোতে লোকসান বৃদ্ধির এটি একটি কারণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানীয়দের দাবির মুখে এ মিলটিকে আধুনিকীকরণ করে লাভজনক করতে বর্তমান সরকার শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গত চারবছর আগে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়।দুই-চার গাড়ী কিনা হয়েছে প্রকল্পের টাকা দিয়ে কিন্তু মুল কাজ শুরু হয়নি । এ নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারিদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে ।
ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন , প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।
আপনার মতামত লিখুন :