শরিফুল হাসান: কী বুঝলেন? এর নাম সাধারণের শক্তি। আমি এ জন্যই সবসময় বলি প্রতিবাদ করতে শিখুন। অন্যায়কে অন্যায় বলতো শিখুন। করোনাকে ধন্যবাদ। করোনাভাইরাসের কারণে অনুষ্ঠান বাতিল। কাজেই মোদী আসছেন না। বিষয়টা সহজ। তবে আমি মনে করি সাধারণ মানুষ চেয়েছে বলেই মোদীর মতো সাম্প্রদায়িক মানুষ আসতে পারছেন না। এটাই সাধারণের শক্তি। হ্যাঁ করোনা অবশ্যই আতঙ্কের। কিন্তু করোনায় যতো মানুষ মরছে চীনের বাইরে, তার চেয়ে বেশি মানুষ মেরেছেন মোদী। কাজেই বঙ্গবন্ধুর মতো অসাম্প্রদায়িক মানুষের জন্মশতবার্ষিকীতে মোদী না আসায় আমি ভীষণ খুশি। দালালি করেছিলেন যারা, যারা বলেছিলেন মোদী না আসলে বিশাল সর্বনাশ হয়ে যাবে তারা এখন কোথায় মুখ লুকাবেন? দালালির আরেকটা উদাহরণ দিই। খবরে দেখলাম তিনজন রোগীর বিষয়ে জানাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে রোববার সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সম্পর্কে অবহিত করতে যান। এ সময় কেউ কেউ কয়েকটা দিন করোনাভাইরাস আক্রান্তের তথ্য গোপন করে আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের পর তা ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এটাই দালালি।
তবে প্রধানমন্ত্রী সেই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের কাছে তথ্য গোপন করতে পারবো না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাও। আমি তোমাদের সঙ্গে আছি।’ এটাই জনতার শক্তি। আবারও তাই বলি প্রতিবাদ করতে শিখুন। সত্যকে সত্য বলুন। একটা দেশের জণগণ শক্তভাবে যা চাইবে তাই হবে, হতে বাধ্য। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :