শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১১ মার্চ, ২০২০, ০৬:৫৪ সকাল
আপডেট : ১১ মার্চ, ২০২০, ০৬:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনাভাইরাস : আমাদের অর্থনীতির লাভ-ক্ষতি

 

ফারুক আস্তানা: দেশের সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর অবহেলা অব্যবস্থাপনার ফলে বাংলাদেশের যে পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি ও মানুষের প্রাণহানি হয়ে যাচ্ছে। তা এক করোনাভাইরাস দুনিয়াজুড়ে এখন পর্যন্ত সে পরিমাপ ক্ষতি দাঁড়ায়নি বা করতে পারেনি। একটা মহামারী কতোজন মানুষের জীবন নিয়ে নিতে পারে। আর রাষ্ট্রের কতো হাজার কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম।
বাংলাদেশের মানুষ এভাবে হিসেব ও চিন্তা না করলেও। অদ্ভুতভাবে দেশে এখন অর্থ পাচারকারী চক্র যে পরিমাণ টাকা বিদেশে নিয়ে গেছে এবং শুধু শ্রমিক নেতাদের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার ফলে গত এক বছরে যে পরিমাণ মানুষ সড়কে মারা গেছে। করোনাভাইরাসে পৃথিবীজুড়ে এখন পর্যন্ত সেই পরিমাণ জীবন ও অর্থনৈতিক ক্ষতি করেনি বা হয়নি। তারপরও বাংলাদেশের মানুষ করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত। জনগোষ্ঠীর এমন অদ্ভুতুড়ে বিবেচনা সচেতন মহলকে হতাশ করেছে, আতঙ্কিত করে তুলেছে। নিজেদের রক্ষায় মানুষ কতোটা বেখেয়াল বেহুঁশ। করোনাভাইরাস চীন-ইতালির জন্য ক্ষতি ও আতঙ্কের। কিন্তু বাংলাদেশে যেখানে কথায় কথায় মানুষ মারা যাচ্ছে, মানুষের জীবন নিয়ে নেওয়া সহজ সাধারণ বিষয় উৎসবে পরিণত করেছে, শুধু কর্তৃপক্ষের সচেতন অবহেলায়।

হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। জনগণের প্রতিবাদ নেই। সরকারও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা দাঁড় করায়নি এখন পর্যন্ত। এগুলো হলো আমাদের জাতিগত বড় সমস্যা। অথচ পরিষ্কার-পরিচ্ছন থাকলে সেসব রোগ ভাইরাস এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছি। বড় দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির বিষয়গুলো রুখতে বা বন্ধ করতে কোনো রকম প্রতিবাদ নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। জনতা সরকারকে তা করতে রাজপথে নেমে বাধ্যও করছে না। অন্যদিকে ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা মাস্ক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কে আগে নেবে। কতো বেশি নিয়ে নিতে পারবে। আর ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে কতো বেশি দাম বাড়িয়ে রাখতে পারে। রাষ্ট্র, বিচার বিভাগও বসে নেই। কোর্ট সরকারি আইনি বাহিনীগুলোকে নির্দেশনায় বলেছে বাজার তদারকি করার জন্য। বলা চলে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আসছে পাবলিক আতঙ্কিত হচ্ছে।

সরকারও নড়েচড়ে বসেছে। মানুষ যতোটা করোনাভাইরাসকে প্রাণঘাতী মনে করে ভয় পাচ্ছে জীবন নিরাপদ করার জন্য মাস্ক কিনছে। হাত ধোয়ার দামি মেডিসিন কিনছে। আবার সরকার জনগণকে শান্ত রাখতে বিভিন্নভাবে প্রচার করছে। স্বাস্থ্য বিভাগও জীবনমান কী উপায়ে পরিচালনা করলে করোনা ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব বা তা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসা যায় সে পদ্ধতিগুলো প্রচারও সামাজিক মাধ্যমগুলো খুব ভালো রকমভাবে আসছে। জনগোষ্ঠী যথেষ্ট সচেতন হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।
যদিও পরিষ্কার থাকা, পবিত্র থাকা, নিয়মিত জীবনচর্চার মধ্যে থাকা দরকার বা নিয়ে আসা উচিত। একটা ভাইরাস দৃশ্যমান হয়েছে বলে তার থেকে মুক্ত ও নিরাপদ থাকতে আপনি বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। মাস্ক ও হাত সুরক্ষা করার জন্য মেডিসিন নিচ্ছেন। জাতিকে সুরক্ষায় কী কাজ ভূমিকায় নিয়েছেন। দেশে যে বেগতিক চক্রগুলো সক্রিয় যাদের হাতে হাজার কোটি টাকার প্রাণের অপচয় হয়ে চলে যাচ্ছে। তাদের কার্যক্রম করোনাভাইরাসের চেয়ে বহুগুণে ভয়ংকর মনে হয় না কেন। আতঙ্কিত করে তুলে না কেন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়