অনলাইন ডেস্ক : [২] চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই ভাইরাসে দিন দিন মৃত্যুর পাশাপাশি বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিনজন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ কারণে সর্বত্রই এখন করোনাভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
[৩] কিছুদিন আগেও মানুষের জ্বর, ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথা যন্ত্রণা করলে সাধারণ ফ্লুর কথাই ভাবা হতো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এখন এসব উপসর্গ দেখা দিলেই করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) থাবা বসাল কিনা নিয়ে তা নিয়ে শুরু হচ্ছে নতুন চিন্তা।
[৪] এই দুই ধরনের জ্বরের উপসর্গে এতটাই মিল যে রোগ নির্ণয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরাও। অনেক সময় আবার অসুখ ধরা পড়তেও দেরি হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে আগে থেকেই সচেতন থাকা জরুরি।
[৫] রোগ নির্ণয়ের সুবিধার জন্যই জেনে রাখা ভালো, এই দুই জ্বরের ধরন কেমন। ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা অবলম্বনে জেনে নিন সাধারণ ফ্লু ও করোনাভাইরাসের মধ্যে কিছু মিল ও অমিল-
[৬] মিল
[৭] - দুই ধরনের ফ্লু-ই ভাইরাসবাহিত।
[৮] - দুই রোগই সংক্রমণজনিত।
[৯] - মানবশরীর থেকেই ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।
[১০] - দুই ধরনের ফ্লু-ই সময়মতো সচেতন না হলে বা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করলে নিউমোনিয়ার দিকে বাঁক নিতে পারে।
[১১] অমিল
[১২] - সাধারণ ফ্লু ও করোনা দুই-ই ভাইরাসজনিত অসুখ হলেও দুই রোগের ভাইরাস সমগোত্রীয় নয়। সাধারণ ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপে হয়, আর কোভিড-১৯ হয় করোনা গ্রুপের ভাইরাসের কারণে।
[১৩] - করোনাভাইরাস ছড়ায়ও অনেক দ্রুত। তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ছড়ায় অনেক ধীরে।
[১৪] - সাধারণ ফ্লুর বেলায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২-৩ দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়। করোনাভাইরাসের বেলায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৭-১৪ দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়।
[১৫] - সাধারণ ফ্লুর বেলায় জ্বর ১০৩-১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে, তবে ওষুধের কাজ শুরু হলে তা নামতেও শুরু করে। করোনাভাইরাসের বেলায় জ্বর প্রবল হলেও নামতে চায় না সহজে। ওষুধও কাজ করে না।
[১৬] - সাধারণ ফ্লু বোঝার জন্য কোনো আলাদা করে পরীক্ষার দরকার পড়ে না। কিন্তু করোনাভাইরাস কি না জানতে গেলে পলিমারেস চেন রিঅ্যাকশন বা পিসিআর পরীক্ষা করা হয়।
[১৭] - সাধারণ ফ্লুর জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস রোধে তেমন কোনো ভ্যাকসিনের সন্ধান এখনো পাননি গবেষকরা।
আপনার মতামত লিখুন :