শাহানুজ্জামান টিটু : [২] বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পরিবারের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজনের চিত্র প্রকাশ পায় রোববার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বললেন, সরকারের কাছে আবেদন সর্ম্পকে তিনি কিছুই জানেন না। খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে কী লেখা হয়েছে তাও তিনি বলতে পারেননি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, তিনি এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানেন না। দলের একাধিক নীতিনির্ধারকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। যা বলার মহাসচিব বলেছেন একথা বলে তারা এড়িয়ে যান।
[৩] খালেদা জিয়া দুই বছরের অধিক সময় কারাবন্দি থাকলেও তাকে মুক্ত করতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। মুক্তির বিষয়ে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারকে যারা আশ্বস্ত করেছিলেন তারা এখন চুপ। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বোন সেলিমা ইসলাম বলছেন, তার শরীরিক অবস্থার উন্নতির চেয়ে অবনতি হচ্ছে বেশি। জীবিত ফেরা নিয়েও শঙ্কার কথাও বলেছেন তিনি। তাই খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে ও তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর তাগিদ থেকেই পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই তদবিরে নেমেছেন।
[৪] এবিষয়ে দলের সূত্র জানায়, পরিবারের অনুরোধে জামিনে বা সরকারের বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি নিয়ে চিকিৎসা নিতে খালেদা জিয়া সম্মত আছেন। যদিও দলের নীতিনির্ধারকরা এতোদিন তাকে বুঝিয়ে এসেছেন আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা হবে। কিন্ত খালেদা জিয়ার সামনে গিয়ে অনেক নেতা কথা বলার সাহস রাখেন না। তিনি পক্ষে-বিপক্ষে যেটাই বলেন, নেতারা কোনো যুক্তি ছাড়াই তা মেনে নেন। নিজেদের ব্যর্থতা লুকাতে তারা সিদ্ধান্তের ক্ষমতা খালেদা জিয়ার উপরে ছেড়ে দেন।
আপনার মতামত লিখুন :