রাশিদ রিয়াজ : [২] ইতালি ঘুরতে যাওয়াই কাল হল মোয়াজ্জেম হোসেনের! করোনায় আক্রান্ত হয়ে ব্রিটেনের এক পাসাপাতালে মারা গেলেন ওই ব্রিটিশ বাংলাদেশি। বয়স হয়েছিল মাত্র ৬০ বছর। ১৯৮৯ সালে সপরিবার বাংলাদেশ ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ইতালি। সেখানে পাঁচ বছর কাটিয়ে, ব্রিটেনে পরিবার নিয়ে থিতু হন ওই ব্যক্তি। ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ম্যানচেস্টারের এক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম মোয়াজ্জেম হোসেন (৬০)। বিবিসি বাংলা সূত্রে খবর, রবিবার নর্থ ম্যানচেস্টার জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হয় মোয়াজ্জেমের।
[৩] তার ছেলে বিবিসিকে জানিয়েছেন, ব্রিটেনে পাকাপাকি ভাবে আসার আগে তাঁরা সপরিবার ইতালিতে প্রায় পাঁচ বছর ছিলেন। ১৯৮৯ সালে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে গিয়েছিলেন। ইতালির মিলান শহর ছিল তাঁর বাবার প্রিয় শহর। তাই ব্রিটেনে এসেও সময়-সুযোগ পেলে মোয়াজ্জেম সেখানে ঘুরতে যেতেন।
[৪] গত ফেব্রুয়ারিতেও মোয়াজ্জেম হোসেন ইতালিতে গিয়েছিলেন। ফেব্রুয়ারির শেষে ইতালিতে করোনা ছড়িয়ে পড়লে, তিনি ব্রিটেনে ফিরে আসেন। তখন সুস্থই ছিলেন। কিন্তু, মঙ্গলবার (৩ মার্চ) হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে, তাঁকে নর্থ ম্যানচেস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। ডাক্তাররা জানান, তাঁর রক্তে যথেষ্ট অক্সিজেন যাচ্ছিল না। হার্টবিটও ছিল অনিয়মিত।
[৫] বাবার মৃত্যুর খবর পেলেও এখনও মৃতদেহ বাড়িতে আনতে পারেননি ছেলে। কারণ, বাড়ির বাইরে বেরোনো তাঁদেরও বারণ। মোয়াজ্জেমের পরিবারের প্রত্যেককে 'আইসোলেশনে' রাখা হয়েছে। প্রতিদিন পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড থেকে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা সবাই ঠিক আছে কি না। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনও লক্ষণ আছে কি না। প্রতিদিন জবাব দিতে হয়। সবে এক সপ্তাহ হয়েছে। এই অবস্থায় আরও এক সপ্তাহ কাটাতে হবে।
[৬] এই মোয়াজ্জেমকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩ জন মারা গিয়েছেন ব্রিটেনে।
আপনার মতামত লিখুন :