চট্টগ্রাম প্রতিদিন প্রতিবেদন : [২] চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর গত ৫ বছরে আয় বেড়েছে সাতগুণ। সেখানে ২১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৬ টাকা উল্লেখ করা হয়। আয়কর পরিশোধের কোন তথ্য নেই— হলফনামায় দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
[২] অভিযোগ রয়েছে, তার দাখিলকৃত নির্বাচনী হলফনামায় কোটি টাকার মূল্যে একটি আলীশান বাড়ির মূল্যে দেখিয়েছেন মাত্র ২২ লাখ টাকা। জানা যায়, ৫ বছরে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর থাকাকালীন সময়ে তুলনামূলকভাবে নগদ অর্থসহ অনেকটাই বেড়েছে গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর।
[৩] এদিকে কাউন্সিলর নিজেকে ‘স্বচ্ছ’ মনে করলেও তার সম্পদ বৃদ্ধির ফলে স্থানীয়রা নানা প্রশ্ন তুলছেন। সাম্প্রতিক অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হিসেবে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থাকলেও এবার (২০২০) নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ টাকা।
[৪] ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ নির্বাচনী হলফনামায় মোট আয় দেখিয়েছিলেন ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। এই নির্বাচনে তা ৭ গুণ বেড়েছে। এতে ২১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৬ টাকা আয় উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর নির্বাচনী হলফনামায় আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ কর প্রদানের কোন তথ্য দেওয়া হয়নি।
[৫] এছাড়া গত ৫ বছরে মোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকার মূল্যের স্বর্ণ ও অন্যান্য মূলবান ধাতু ও পাথরের অলংকার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য মালামালের কোন পরিবর্তন নেই। একই সঙ্গে ৫ বছরে স্থিতাবস্থায় রয়েছে তার ২২ লাখ টাকা মূল্যের আলীশান বাড়ির।
[৬] প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৮ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোটগ্রহণ ২৯ মার্চ। এতে ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা এই নির্বাচনে অংশ নেবেন। গতবারের মতো এবারও আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী। একই সঙ্গে আবু নাসের, বদিউর রহমান ও হাসান মুরাদসহ মোট তিনজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবার সেখানে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে সেখানে বিএনপির রয়েছে একক কাউন্সিলর প্রার্থী হানিফ সওদাগর।
আপনার মতামত লিখুন :