শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ১০ মার্চ, ২০২০, ০৭:৩৩ সকাল
আপডেট : ১০ মার্চ, ২০২০, ০৭:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্যা আমির হোসেনের দুর্নীতির আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে পড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্যা আমির হোসেনের দুর্নীতির আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে পড়েছে। বিভিন্ন নিরাপত্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশন তার এ দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে।

[৩] দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্যা আমির হোসেন ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি ৫টি শর্ত মেনে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে কর্মকর্তা হিসেবে খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্টার পদে চাকুরির আবেদন করেন। শর্ত ৫টির মধ্যে প্রধান দুটি শর্ত ছিলো, রেজিস্টার পদে চাকুরি হলে শিক্ষা ক্যাডার থেকে অব্যহতি দিতে হবে। কোন রকম লিয়েন বা ডেপুটেশন মঞ্জুর করা যাবে না। যার স্মারক নং শিম/শাঃ৮/৩পি-১/২০১০/১৬০। ওই শর্ত মেনে তিনি খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ে রেজিস্টার পদে চাকুরি পান। সেখানে খুলনা বিশ^বিদ্যালয় ১২টি শর্তে রেজিস্টার পদে নিয়োগদানের আদেশ দিয়ে ২০১৩ সালের ৬ মার্চের মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়। যার স্মারক নম্বর খুবি/প্রশা-৫নি-১৬/৯১-১৭১, তারিখ ২০-০২-২০১৩।

[৪] খুলনা বিশ্বিব দ্যালয়ের নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে ২০১৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মোল্যা আমির হোসেন খুবি যোগদানের জন্য সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের চাকুরি থেকে ইস্তফা দিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন জমা দেন। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মোল্যা আমির হোসেনের ইস্তফা পত্রটি গ্রহণ করে শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. বিমল কৃষ্ণ মজুমদার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট প্রেরণ করেন। যার স্মারক নম্বর বশিবো/ প্রশাসন/ক.প/৪৩০,তারিখ ২৫-২-২০১৩। তিনি ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ে রেজিস্টার হিসেবে যোগ দেন।

[৫] পরবর্তীতে মোল্যা আমির হোসেন তথ্য গোপন করে খুবি রেজিষ্টার পদের চাকুরি থেকে ইতোমধ্যে অব্যহতির দিয়েছি মর্মে ২০১৩ সালের ২ মে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ইস্তফা পত্রটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আবেদনে তিনি তথ্য গোপন করে তার পদবী কলেজ পরিদর্শক বরিশাল শিক্ষাবোর্ড লিখেছেন। যদিও তিনি সে সময় খুবির রেজিস্টার হিসেবে কর্মরত আছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন স্বাক্ষরিত স্মারক নম্বর ওম/৩৩/সি-২/১৩/৪৮১০ তারিখ ৩০ মে, ২০১৩ চিঠির মধ্যে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়কে অবহিত করেন যে, মোল্যা আমির হোসেন তার সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের চাকুরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সেই ইস্তফা পত্র মোল্যা আমির হোসেন প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন এবং তিনি পুনরায় শিক্ষা ক্যাডারের চাকুরিতে পুনরায়ন যোগদান করলেন।
২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট মোল্যা আমির হোসেন খুবি কর্তৃপক্ষের নিকট রেজিস্টার পদ থেকে চাকুরি থেকে অব্যহতি আবেদন করেছেন এবং খুলনা বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খুবি/রেজি/সংস্থা-০৩/২০৫/২০১৩ তারিখ ২৮-৮-২০১৪ তারিখে মোল্যা আমির হোসেনকে সাময়িক ভাবে অব্যহতি দেন। দেনা পাওনা পরিশোধের পর চুড়ান্ত অব্যহিত প্রদান করার হবে জানানো হয়।
বিশ^বিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে মোল্যা আমির হোসেনের নামে আর্থিক দুর্নীতির অডিট আপত্তি থাকায় ২০১৬ সালের ৩০ মে পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয় থেকে চুড়ান্ত অব্যহতি দেয়নি।
২০১৫ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে মোল্যা আমির হোসেন যশোর শিক্ষাবোর্ডের স্কুল পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেন। পরে সচিব পদে যোগদান করেন। এসময় বিভিন্ন রকম দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়