আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] সোমবার ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন জানায়, চলতি দশকে তেলের বার্ষিক ব্যবহার এর আগে কখনই কমেনি। এমন অবস্থা যদি আরও এক মাস চলে, তবে শিল্পবিপ্লবের পর সর্বোচ্চ হারে তেলের ব্যভহার প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে। এএফপি, সিএনবিসি, ব্লুমবার্গ, ফক্স
[৩] সৌদি আরব এবং রাশিয়া তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবার পর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করলো জ্বা লানি তেলের বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
[৪] আইআরএর দেয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দৈনিক জ্বালানি তেলের চাহিদা ১১ লাখ ব্যারেল হবার কথা। কিন্তু তা নেমে এসেছে ৯০ হাজার ব্যারেলে। ২০০৯ সালে একবার এই পর্যায়ে নেমে গিয়েছিলো তেলের চাহিদা।
[৫] আইইএ প্রধান ফাতিহ বিরল বলেন, ‘আমাদের জ্বালানির বাজারকে দুমড়ে মুচরে রেখে দিয়েছে করোনাভাইরাস। শুধু তেল নয়, দর হারাচ্ছে কয়লা, গ্যাস এবং অন্যঅন্য জ্বালানিও।’
[৬] জ্বালানি খাতের এই দূরাবস্তার প্রধান কারণ হলো বিশ্ব যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপর্যয়।
[৭] সৌদি আরব আবারও বিশ্ব তেলবাজারের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে একেবারেই কমিয়ে দিয়েছে তেলের দর। শুক্রবার ওপেকের প্রস্তাব করা তেলের উৎপাদন কমানোর প্রস্তাব প্রত্যাখান করে রাশিয়া।
[৮] তেলের বাজার টালমাটাল হবার কারণে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক রোববার সন্ধ্যায়ই ৫ শতাংশ কমে যায়। ফলে ব্রেকিং সিস্টেম চালু হয়ে বন্ধ হয়ে যায় লেনদেন। ডাও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সূচক কমে গেছে ১২০০ পয়েন্ট বা ৪.৯ শতাংশ। নাসডাক কম্পোজিট কমেছে ৪.৮ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :