শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ০৯ মার্চ, ২০২০, ০৯:৩০ সকাল
আপডেট : ০৯ মার্চ, ২০২০, ০৯:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ৩০ লাখ টাকার ‘লোভে’ মেয়েকে হত্যার অনুমতি দেন বাবা, জানতেন মা-ও

সুজন কৈরী : [২] পাঁচ বছর আগে নরসিংদীতে নিহত ইলমা বেগমকে (১১) তার বাবার সামনেই মুগুর ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। এ ঘটনায় সিআইডি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন, ইলমার বাবা আব্দুল মোতালেব, মা মঙ্গলী বেগম, ইলমার ফুফাতো ভাই মাসুম মিয়া, মো. বাতেন ও শাহজাহান গ্রুপের প্রধান মো. শাহজাহান ভূঁইয়া।

[৩] সোমবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই শাজাহান গ্রুপের সাথে ৩০ লাখ টাকার চুক্তিতে এ হত্যাকাণ্ডে ইলমার পরিবার অংশ নেয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাসুম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

[৪] ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, নরসিংদীর বাহের চর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাহজাহান গ্রুপের সাথে সাবেক মেম্বার বাচ্চু গ্রুপের দ্বন্ধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে ইলমাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

[৫] পরে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ রাতে ইলমার দুলাভাই বাবুল ও ফুফাতো ভাই মাসুমের নেতৃত্বে সাত আটজন মিলে ধান ক্ষেতে নিয়ে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।ঘটনার সময় ইলমার বাবা উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় ইলমার বাবা বলেন, 'আগে টাকা দাও পরে কাম সারো'। পরে তিনি বিভিন্ন সময়ে চার লাখ টাকা পান।

[৬] এরপর ওই বছরের ২৮ মার্চ নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ ইলমার মরদেহ উদ্ধার করে। আর এ ঘটনায় ওই বছরের ৩১ মার্চ ইলমার বাবা বাদী হয়ে বাচ্চু গ্রুপের বিলকিস, খোরশেদ, নাসুসহ আরে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থানা পুলিশ আসামিদের ধরতে ব্যর্থ হলে সিআইডি মামলাটি তদন্ত শুরু করে।

[৭] এরপর ইলমার বাবা নিয়মিতভাবে আসামি পরিবর্তন করার জন্য সিআইডিতে আবেদন করতে থাকে। এতে সিআইডির সন্দেহ হলে তার পরিবারের প্রতি গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করা হয়। পরে মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হলে এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হয়। এখন বাবা মাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়