শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৯ মার্চ, ২০২০, ০৬:০৭ সকাল
আপডেট : ০৯ মার্চ, ২০২০, ০৬:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেদিন মেয়েরা নিজেদের সিদ্বান্ত বিনা দ্বিধায় নিতে পারবে, সেদিনই নারী দিবসের প্রয়োজনীয়তা ফুরাবে

 

কাজী হানিউম মারিয়া: আমার মনে হয় প্রায় সব নারী জীবনে একবার হলেও এ কথাটা শুনেছে যে সমঅধিকারের চাইলে পুরুষের মতো কাজ করে দেখাও। নারীদিবস নিয়ে আছে সেই লেভেলের হাস্যরস। এই এলার্জি যে শুধু পুরুষদের আছে তা নয়, অনেক নারীদেরও আছে। তাদের চিন্তা-চেতনার গভীরতা আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, স্বচ্ছল-অস্বচ্ছল সমাজের প্রায় সব স্তরেই মেয়েদের অবস্হা একই রকম। সব মেয়েদের নয়। তবে বেশিরভাগেরই। কারণ তাদের চিন্তার স্বাধীনতা নেই। নেই নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নেয়ার। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তারা বাবা-মা মন খারাপ করবে, বর রাগ করবে, সমাজ কি বলবে এসব চিন্তা করে। বলা হয়ে থাকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমেই মেয়েরা স্বাধীন মতপ্রদান করতে পারে। আমি অন্তত আমার আশেপাশের অনেককে চিনি যারা নিজেদের বেতন খরচ করার আগেও পারমিশন নেয়। নিজের বাচ্চার ব্যাপারেও পারমিশন নেয়। পরিবারের সাথে পরামর্শ করা খারাপ নয় কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক কারও যদি নিজের ডিসিশন নেয়ার ক্ষমতা না থাকে তাহলে নারী স্বাধীনতার প্রশ্ন আসবেই। কারণ প্রাপ্তবয়স্ক উপার্জনক্ষম নারীদের অনায়েসে উপদেশ দিতে পারে যে কেউ। কারণ নারী মানেই অবুঝ।

যতোদিন পর্যন্ত মেয়েদের নিজেদের মতামত অন্যরা ভাববে ততোদিন পর্যন্ত নারী দিবসের প্রয়োজনীয়তা থাকবে। ঘরের রসুইঘরের কাজ যতোদিন নারী একা সামলাবে ততোদিন থাকবে। ছেলেদের গালি দেবার সময়েও তাদের মাকে, বোনকে টেনে আনা হয়। চরিত্র নিয়ে গালি যা ছেলেদের ক্ষেত্রে দুষ্টুমি আর মেয়েদের ক্ষেত্রে অসম্মানের। পরিবারের সম্মান মেয়ে-বউয়ের চলাফেরার উপর নির্ভর করে।ওয়াজের বিষয়বস্তু মেয়ে। মেয়েদের বুদ্ধিমত্তা নীচু করে দেখা, তা নিয়ে কৌতুক। কথাসাহিত্যে-কবিতা-নাটকে ছড়িয়ে আছে দজ্জাল বউ-শাশুড়ি, মা না বউ বড়, মামী আসে লাঠি নিয়ে, ঝগড়াটে বুড়ি, পাশের বাসার আন্টি। না হলে মেয়েদের চরিত্র বোকা হবে, কোমল হবে, আনাড়ি হবে, সর্বংসহা নিরবে চোখের পানি ফেলা শাবানা টাইপ হবে। কালেভদ্রে কিছু ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন চরিত্র দেখা যায়। বাস্তবেও এমন মেয়েদের সংখ্যা কম। হাজারটা উদাহারন দেয়া যাবে। সুতরাং বেশি ভাব দেখাতে গিয়ে নারীদিবসের দরকার নেই বলার আগে নিজের অবস্হান থেকে নেমে এসে চারপাশের নারীদের নিয়ে ভাবুন। সবাই সমান সুযোগ পায়না। যখন পাবে তখন অবশ্যই ভাল মানুষ দিবস উদযাপন করা যাবে।

একটা ছোট্ট গল্প বলি। জাপানে একদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ আমার জাপানিজ বন্ধু তার ছেলে বন্ধু নিয়ে হাজির। ডিনার টাইমে সেই ছেলেবন্ধু আমাদের গল্প করতে দিয়ে নিজে ভাত রান্না করলো, চিকেন ফ্রাই করলো, সালাদ কাটলো এবং আমাদের সার্ভও করলো। বাংলাদেশে আমি যদি এই কাজ করতাম, তাদের জামাইরা তো দূরের কথা আমার বান্ধবীরাই আমাকে কথা শুনিয়ে মেরে ফেলতো। মানছি আমরা অতিথি পরায়ন। আমরা অতিথিদের কাজ করতে দিবো না। কিন্তু বাসায়ও কাজের ভার এককাঁধে এতো বেশি কেন? যেদিন মেয়েরা নিজেদের ডিসিশন বিনা দ্বিধায় নিতে পারবে, সেদিনই নারী দিবসের প্রয়োজনীয়তা ফুরাবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়