শিরোনাম
◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী

প্রকাশিত : ০৮ মার্চ, ২০২০, ১০:২১ দুপুর
আপডেট : ০৮ মার্চ, ২০২০, ১০:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আন্তর্জাতিক নারী দিবস

ওমর ফারুক : আন্তর্জাতিক নারী দিবস। যার আদি নাম আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবস। প্রতি বছরের মার্চের ৮ তারিখে এই দিবসটি সারা বিশ্বে পালন করা হয়। বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারীদিবস উদযাপন হয় এক এক রকম। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদযাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্ব পায়।

কবে থেকে কি ভাবে এই দিবসের সূচনা হয়?

১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মার্চ আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে একটি সূচ কারখানা মহিলা শ্রমিকগণ কারখানার মানবেতর পরিবেশ, অসম মজুরী ও ১২ ঘণ্টা কর্মদিবসের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। সেদিন তারা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।

কিন্তু পুলিশ নিরীহ মহিলা শ্রমিকদের উপর নির্যাতন চালায় এবং অনেককে বন্দী করে। পুলিশি অত্যাচারের দিনটি স্মরণ রেখে নিউইয়র্কের সূচ কারখানার মহিলা শ্রমিকগণ ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মার্চ একত্রিত হয়ে মহিলা শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করে। মহিলা শ্রমিকদের আন্দোলন এগিয়ে চলে। তাদের আন্দোলন কারখানা ও ইউনিয়নের সীমা অতিক্রম করে ছড়িয়ে পড়ে।

১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্ব প্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন পালন করা হয়। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ, জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের এক জন।

এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহাগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বছরের ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন।

সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল।

বাংলাদেশেও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। এবং ১৯৭৫ সালে খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এর পর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে।

বিশ্বের অনেক দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারী ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। তার মধ্যে : আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, কিউবা, জর্জিয়া, গিনি বিসাউ, ইরিত্রিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজিস্তান, লাওস, মলদোভা, মঙ্গোলিয়া, মন্টেনিগ্রো, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উগান্ডা, ইউক্রেন, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া, চিন, ম্যাসিডোনিয়া, মাদাগাস্কার, নেপালে শুধুমাত্র নারীরাই সরকারি ছুটি পেয়ে থাকেন। সুত্র : কালেরকন্ঠ, যুগান্তর, প্রথমআলো, বাংলানিউজ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়