শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত : ০৮ মার্চ, ২০২০, ১১:২২ দুপুর
আপডেট : ০৮ মার্চ, ২০২০, ১১:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেহমান মোদী, বাংলাদেশ সফরে বিক্ষোভ দেখালে হতে পারে কড়া শাস্তি! : এইসময়

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের প্রভাবশালী বাংলা অনলাইন এইসময় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৬ মার্চ বাংলাদেশ যাওয়ার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। আর সেই সফরকে ঘিরেই বাংলাদেশে দেখা দিয়েছে অশান্তির মেঘ। মোদীকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে সফরের বিরোধিতায় পথে নেমেছে ইসলামি সংগঠনও। তাঁদের দাবি, মোদীকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আনা মানে বঙ্গবন্ধু মুজিবকে অপমান করা। আর এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডঃ আব্দুল মোমেন মোমেন।
আমাদেরসময়ডটকমের পাঠকদের জন্য সম্পূর্ণ খবরটি নিচে দেওয়া হলো :
“ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন বাংলাদেশ সফরে বিক্ষোভ দেখাতে পারে বিভিন্ন সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে মোদীর সফরকে নিষ্কন্টক করতে উঠেপড়ে লেগেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডঃ আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, 'মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আসতে কোনও অসুবিধা নেই।' সেইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'মোদীর যাত্রাপথে কেউ বিক্ষোভ দেখালে পড়তে হতে পারে কড়া শাস্তির মুখে।'

১৭ মার্চ ঢাকায় মুজিববর্ষের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিশ্বনেতাদের অনেকেই মুজিববর্ষের এই আয়োজনে যোগ দেবেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র অংশীদার ভারত। আর সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৬ মার্চ ঢাকায় আসার কথা। ইতোমধ্যে মোদীর সফরের জন্য বিক্ষোভ দেখানোর কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের বেশ কিছু সংগঠন। এরই মধ্যে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা বুধবার বিক্ষোভ দেখিয়ে বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশের সম্পদ, গোটা বিশ্বের সম্পদ। সেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ‘মুসলিমবিরোধী’ নরেন্দ্র মোদীকে আনা হলে বঙ্গবন্ধুকেই অপমান করা হবে। তাই মোদীকে বাংলাদেশে এনে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করার চেষ্টা হলে তা প্রতিহত করা হবে বলেই জানান তাঁরা। বুধবারের এই হুঁশিয়ারির পরই অবশ্য পালটা প্রতিবাদীদের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী।

করোনাভাইরাস নিয়েও যে বাংলাদেশে কোনও ঝুঁকি নেই, সেই কথাও বলে রেখেছেন বিদেশমন্ত্রী মোমেন। তাই করোনার জন্য ব্রাসেলস সফর বাতিল করলেও এখনও মোদীর বাংলাদেশ সফর চূড়ান্তই রয়েছে। যদি মোদীর বাংলাদেশ সফরে মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মোদী বিরোধী বিক্ষোভ।

বুধবার বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজন করা হয়ে মোদীর সফরবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলের। এই পরিস্থিতিতে তাই মোদীর সফরকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলতে চায় বাংলাদেশ সরকার। সেই কারণেই মোদীকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এদিনও সেই কথাই জানান তিনি।

বুধবার ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ইসলামী আন্দোলনের আমীর ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির আমীর সৈয়দ মো. রেজাউল করীম, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হক আজাদ, আব্দুল আউয়ালরা। সেখানেই সৈয়দ মো. রেজাউল করীম সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা শ্রদ্ধা করি। ইসলামের গণ্ডির মধ্যে থেকে তাঁর জন্মশতবার্ষিকীর যে প্রোগ্রামগুলো পালন করা হবে, সেখানে ইসলামি আন্দোলন সমর্থন দেবে।'

মোদীর বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে আগামী ৬ মার্চ, শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন। জানানো হয়েছে ইসলামি আন্দোলনের সব কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। কোনও সহিংস কর্মসূচি ইসলামি আন্দোলন সমর্থন করে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কি-নোট স্পিকার হিসেবে কয়েক মাস আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলাদেশের তরফে। বাংলাদেশের বেশ কিছু সংগঠন সিএএ ও দিল্লি হিংসার প্রেক্ষিতে মোদীকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতা আখ্যা দিয়ে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে তার সফরের তীব্র বিরোধিতা করেছে।

যদিও মোদীর সফরের সার্বিক বিষয় চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর কথায়, 'ভারতের কথা উঠলেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, সেখানে কোটি মানুষকে আশ্রয়দান, তাদের খাবার-চিকিৎসার বিষয়টি সামনে আসে। এই অবস্থায় যারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করছেন, এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশে। এখানে সবার মতামত জানানোর অধিকার রয়েছে। তবে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সর্বোচ্চ সম্মানই জানাবে সরকার। ”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়