এম. মাহফুজুর, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :[২] মুজিব বর্ষে যখন সব সরকারী সেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌছ দিতে সরকার ও কর্মকর্তারা বদ্ধপরিকার, ঠিক সেই সময় গ্রামের হতদরিদ্র সাধারণ মানুষ লোভী মাটি ব্যবসায়ীদের কারণে হাত পা ভেঙ্গে জখম হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে কতিপয় মাটি ব্যবসায়ী পাকা রাস্তাগুলো মাটি ফেলে কাচায় পরিণত করে রাখলেও তাদের কেশ স্পর্শ করার মতো কেউ নেই বা তাদের প্রতি আইন প্রয়োগ হয় না।
[৩] ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জেল জরিমানা করার বিধান থাকলেও ঝিনাইদহের প্রশাসন রয়েছে নিয়মিত মিটিং সভা সমাবেশ নিয়ে। দিবস পালনের ফাটা বাঁশে আটকে গেছে সব কাজকর্ম। অভিযোগ নিয়ে তাদের দরজায় পৌছানো মানুষের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ তারা অফিসে থাকেন না। এ কাজ সে কাজ নিয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দিনব্যাপী ব্যাস্ত থাকায় যারা ট্যাক্সদিয়ে বেতন পেতে সহায়তা করছেন তাদের সমস্যা নিরসনের সুযোগই বা কোথায় ? অভিযোগ পাওয়া গেছে ঝিনাইদহের পশ্চিমাঞ্চলে ৭/৮ জন মাটি ব্যবসায়ীর কারণে এলজিইডি, সওজ ও জেলা পরিষদের কোটি কোটি টাকার রাস্তা মাটি ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে।
[৪] রাস্তার উপর মাটি ফেলে তা বৃষ্টি কাদায় আবার কাচা রাস্তার মতো দশা হচ্ছে। অনেক সময় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। মোটরসাইকেল আরোহীরা চলাচল করতে পারছেন না। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, পশ্চিমের সাধুহাটী, মধুহাটী, সাগান্না, হলিধানী ও কুমড়োবাড়িয়া ইউনিয়নে পুকুর খনন করে ইটভাটায় বালি ও মাটি বিক্রির নাটেরগুরু হচ্ছে ৬/৭ জন লোভী মানুষ।
[৫] এরা হলেন হলিধানীর কোলা গ্রামের জসিম, রামচন্দ্রপুর গ্রামের ওসমান, বাথপুকুর গ্রামের আলী আকবর, আইয়ুব আলী, দিপংকর, নজরুল ইসলাম ও ঝিনাইদহের রয়েল পাকা রাস্তা কাচায় পরিণত হয়ে আছে।
[৬] এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদরুদ্দোজা শুভ গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, বিষয়টি আমার নলেজে আছে। এ বিষয়ে আমি মিটিংয়ে বসেছি, কি করা যায়। যারা রাস্তা নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। সম্পাদনা : রাকিবুল
আপনার মতামত লিখুন :